পিসি রোড
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নভেম্বরের মধ্যে ‘চট্টগ্রামের দুঃখ’ বলে খ্যাত পোর্ট কানেকটিং রোড (পিসি রোড) এর ৭০ শতাংশ কাজ শেষ করতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন। অপরপক্ষে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত ও গণদুশমন হিসেবে চিহ্নিত করে তার তালিকা নগরবসাীর সামনে প্রকাশ করা হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
প্রশাসক আজ শুক্রবার বিকেলে নগরীর পোর্ট কানেকটিং রোডের চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন। পরিদর্শন কালে প্রশাসক সড়কটির বিভিন্ন স্থানে উন্নয়ন কাজ প্রত্যক্ষ করেন এবং স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলেন।
প্রশাসক প্রথমে পাহাড়তলী সাগরিকা রোড পোর্ট কাস্টমস একাডেমি এলাকায় প্রায় ১২০ ফুট দৈর্ঘ্যের কালভার্টের নির্মাণ কাজ প্রত্যক্ষ করেন। জাইকার সিনিয়র প্রকৌশলী নাছির উদ্দিনসহ স্থানীয় জনগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রশাসক সুজন একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ ও অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের কাজের ধীর গতিতে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য তিন লটে বিভক্ত হয়ে পিসি রোড়ের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। সে স্থানগুলো হলো নীমতলা হতে তাসফিয়া মোড়, তাসফিয়া মোড় হতে কলকা মোড়, কলকা হতে সাগরিকা মোড় পর্যন্ত।
এ সময় প্রশাসক সুজন বলেন, সাময়িক দায়িত্ব পেয়েও আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি নগরীকে পরিচ্ছন্ন ও মানবিক শহরে পরিণত করতে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর, রেলওয়ে, ইপিজেড, বিজিএমইএ, বেসরকারি রি-রোলিং স্টিল মিলসহ যারা ব্যবসার প্রয়োজনে নগরীর সড়কগুলো ব্যবহার করছেন তাদের কাছে আমি ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ চেয়েছি। যাতে নগরীর সড়কগুলো টেকসই করে নির্মাণ করা যায়। কর্পোরেশন বেসরকারি খাতে নগরবাসীর ওপর করের বোঝা চাপাতে চায় না। সরকারি প্রতিষ্ঠান যারা নগরীর সুবিধাভোগী তারা ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিলে নগরীর অবকাঠামোগত উন্নয়নে দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে। প্রশাসক নগরীর ৬০ লাখ অধিবাসীকে সার্ভিস চার্জের বিষয়ে তার সাথে একমত হওয়ার আহ্বান জানান।
পিসি রোডের উন্নয়ন কাজে মোট ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে এর কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। বৃষ্টি না হলে নভেম্বরের মধ্যে ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হবে বলে প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আশা প্রকাশ করেন। বিজ্ঞপ্তি