নিজস্ব প্রতিবেদক »
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, নদীর জোয়ার বালির বাঁধ দিয়ে থামানো যায় না। শহীদের রক্তাক্ত সংগ্রামে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, লড়াই করছি। বালির বাঁধ ভেঙ্গে আমরা জোয়ারের বাঁধ গড়ে তুলেছি। আমরা আজ এখানে নবতর উপায়ে সংগ্রাম শুরু করব। সে সংগ্রামে লড়াই হবে শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এক দফা আন্দোলনের। আমরা চাই দেশের জনগণের ক্ষমতা জনগণকেই ফিরিয়ে দিতে। আমরা সরকারকে এটা বলতে চাই, বালির বাঁধ কখনও টিকবে না। জোয়ারের পানি এগিয়ে যাবে।
তিনি শনিবার সকালে এনায়েত বাজার মোড়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে মহান বিজয় দিবসের বিজয় র্যালি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির আরমযায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমাদের দলের নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী কারাগারে আছেন। অবিলম্বে তাকে মুক্তি না দিলে কারাগার ভেঙ্গে আমরা তাকে মুক্ত করবো। আমাদের নেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্ত করবো। এ মুক্তি আন্দোলনের মধ্যে করতে হবে। এ সরকারের কাছে চাওয়ার কিছু নেই। সরকার ধসে পড়েছে। আমরা জয়ের মুখোমুখি, বিজয় অর্জনের প্রাক্কালে।
নোমান বলেন, সরকার বার বার চেষ্টা করেছে আমাদের সব কর্মসূচি ব্যর্থ করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু একটি কর্মসূচিও ব্যর্থ হয়নি। বরং কর্মসূচিগুলো অসাধারণ হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের একদফা আন্দোলনের কায়েম না হবে ততদিন আমাদের সংগ্রাম চলবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এস এম ফজলুল হক বলেন, পৃথিবীর প্রতিটি স্বৈরাচারের পতন হয়েছে করুণভাবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করেই আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছিলাম। এই যুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। কিন্তু আজকে এই দেশ সম্পূর্ণভাবে গণতন্ত্রবিহীন হয়ে পড়েছে। এই দেশে আজ মানুষের ভোটের অধিকার নেই। সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো হরণ করা হয়েছে। মানুষের অধিকার হরণ করে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ভোটারদের কাছে আহ্বান, জবরদস্তি করলেও ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। ভোট বর্জন করুন।
এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মাহবুব আলম, জসিম উদ্দিন শিকদার, এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, ফাতেমা বাদশা, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী মো. সালাউদ্দীন।