সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রামে তালাবন্ধ ঘর থেকে মুখ ও হাত-পা বাঁধা যে যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তার নাম জানতে পেরেছে পুলিশ। তবে তিনি কে, কোথায় তার বাড়ি, কারা স্বজন, এসব বিষয়ে পুলিশ এখনও অন্ধকারে।
পরিচয় শনাক্তে নিহত যুবকের আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে পুলিশের তদন্ত সংস্থা পিবিআই। যে ঘরে এই যুবক থাকতেন, তার মালিক জানিয়েছেন, ভাড়া দিলেও তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র রাখেননি। কেবল জেনেছেন সেই যুবকের নাম সালাউদ্দিন। খবর বিডিনিউজের।
গত শনিবারও জাতীয় পরিচয়পত্র চেয়ে তাগাদা দিয়েছেন দাবি করে ঘরের মালিক জানান, সালাউদ্দিন বলেছিলেন মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে দেবেন। কিন্তু আর দেননি।
খুলশী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুর রহমান বলেন, গত ২২ জানুয়ারি তিন সহকর্মী মিলে থাকার জন্য সালাউদ্দিন বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন বলে বাড়িওয়ালী ছেনুয়ারা পুলিশকে জানিয়েছেন। তবে নাম ছাড়া তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সোমবার সকালে টাইগারপাসের রেলওয়ের কলোনির কুয়ার পাড় এলাকায় ১১ নম্বর বিল্ডিংয়ের সামনের খালি জায়গায় অবৈধভাবে নির্মাণ করা একটি টিন শেড ঘরের তালা ভেঙে ওই যুবকের মরদেহে উদ্ধার করা হয়।
সকালে তালা দেওয়া ঘরটির আশপাশের প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধ পান। সন্দেহ হলে খবর দেন পুলিশকে।
পরিদর্শক শহীদুর রহমান বলেন, ‘নিহত যুবকের বয়স আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫ বছর। তার মুখ ও হাত-পা গামছা এবং লুঙ্গি দিয়ে বাঁধা ছিল। লাশের মুখ ও শরীরও ফুলে গেছে। ঘরের ভেতরে রক্তের চিহ্ন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মনে হয়েছে তাকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে সঠিক কারণ জানা যাবে।’
যিনি ঘরগুলোর মালিক হিসেবে পরিচিত, সেই ছেনোয়ারা রেলওয়ের মালিকাধীন জমিতে অবৈধভাবে টিন শেড ঘরগুলো নির্মাণ করেছেন।
তিনি বলেন, কয়েক মাস আগে খালি জায়গায় তিনি এক কক্ষের দুটি টিনশেড ঘর তৈরি করেন। দুই বন্ধুসহ থাকবেন জানিয়ে গত মাসে দুই হাজার টাকায় বাসাটি ভাড়া নেন ‘সালাউদ্দিন’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া সেই যুবক। জানান, তিনি শ্রমিকের কাজ করেন।
‘শনিবারও সালাউদ্দিনের সঙ্গে আমার মোবাইলে কথা হয়েছে। কিন্তু সালাউদ্দিন বাসা নেওয়ার পর তার এক বন্ধু চলে যায়, তার জায়গায় নতুন একজন আসে বলে আমাকে জানিয়েছিল’, বলেন ছেনোয়ারা।
তিনি জানান, শনিবারও সালাউদ্দিনের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র চেয়েছিলেন।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করেছেন।
পিবিআই পরিদর্শক ফজলুর রহমান ফারুকী বলেন, ‘বাড়িওয়ালা ঘর ভাড়া দেয়ার সময় কোনো পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেননি। শুধু তিনি সালাউদ্দিন নামটিই জানতেন। বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি।
‘আমরা তার হাতের আঙ্গুলের ছাপসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছি। সেখান থেকে বিস্তারিত পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হবে।’