নিজস্ব প্রতিবেদক »
সরকার ঘোষিত লকডাউন দু’দিন পরেই শেষ হতে যাচ্ছে। এর আগেই নগরীতে বাড়ছে যানবাহনের চাপ। লম্ব রুটের গাড়িগুলো অল্প দূরত্বে চলাচল করছে। বিভিন্ন বাস স্টপেজের আগে গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে সেসব গাড়িতে নেই কোন স্বাস্থ্যবিধি। গাদাগাদি করে নিচ্ছে যাত্রী। সেই সাথে ভাড়াও বাড়তি। তাতেও যাত্রীদের কোন বিরক্তি নেই। কেউ কেউ মনে করেন বেসরকারি অনেক অফিস খোলা থাকায় রিকশার চেয়ে এই পরিবহনগুলো আমাদের খরচ কমাচ্ছে।
অমিন জুট মিল থেকে নিউমার্কেট যাচ্ছেন এনি চৌধুরী। জুট মিলের সামনে গাড়ির জন্য অপেক্ষারত এ্যানি বলেন, কিছুক্ষণ পরপর ৩ নম্বর রেঞ্জার (হিউম্যান হলার) আসবে, মুরাদপুর পর্যন্ত যাবে। সাধারণত এগুলো নিউমার্কেট পর্যন্ত যায়। এখন মুরাদপুরের আগে রেলবিটে নামিয়ে দেয়া হয়।
মুরাদপুরে দুপুর দুইটায় কথা হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র শিহাবের সাথে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসছি। অক্সিজেন থেকে গণ পরিবহনে আসলাম। গাড়িতে ভাড়াও বেশি নিচ্ছে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েও যাত্রী নিচ্ছে।
একই চিত্র দেখা যায় নগরীর অন্য রুটগুলোতে। বহদ্দার হাট, জিইসি, নতুন ব্রিজসহ নানা জায়গায় গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়। বহদ্দার মোড় থেকে চকবাজার পর্যন্ত লেগুলা গাড়ি চলতে দেখা গেছে। বহদ্দারহাট মোড়ে কথা হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিস লিমিটেডের এক কর্মকর্তার সাথে। তিনি বলেন, এই করোনায়ও আমাদের অফিস খোলা। অফিস লাভলেইনে। কিছু গণপরিবহন থাকায় এত দূরের যাতায়াত খরচ কিছুটা কমেছে।
অন্যদিকে বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচলও। শহরের প্রায় সব রুটে কার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলের ব্যাপক উপস্থিত ছিল। নিউমার্কেট মোড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক বলেন, আজকে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। অনেকে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে। সরকারি আদেশ অমান্য করায় অনেক গাড়িকে জরিমানাও করা হয়েছে। তবে যৌক্তিক কারণ থাকলে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ মুহূর্তের সংবাদ