দুর্গাপূজায় ছুটি বাড়ানো সহ ১৫ দফা দাবি

????????????????????????????????????

দক্ষিণ জেলা পূজা পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সনাতনীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় চারদিনের সরকারি ছুটি ও মেধস আশ্রমকে জাতীয় আশ্রম ঘোষণাসহ ১৫ দফা দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ।
গতকাল রোববার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পরিমল দেব।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার শারদীয় দুর্গোৎসব সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের ২৬ দফা মেনে এবং সরকারি নিয়মনীতি অনুসারে উদযাপন করা হবে।
দক্ষিণ জেলা পূজা পরিষদের অন্যান্য দাবিসমূহ হলো-সংবিধানের ৫ম ও ৮ম সংশোধনী বাতিল করে ৭২’র সংবিধান পুরোপুরিভাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের সাথে জড়িত ব্যক্তি ও ইন্দনদাতাদের বর্তমান জাতীয় সংসদে ‘সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস দমন আইন’ প্রণয়ন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা, ৯০, ৯১ ও বিভিন্ন সময়ে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসে বিধ্বস্ত মঠ-মন্দির সরকারিভাবে পুনঃনির্মাণ করা, ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘঠিত সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা, শত্রু সম্পত্তি আইনের মাধ্যমে বেহাতকৃত সম্পত্তি প্রকৃত উত্তরাধিকারির কাছে হস্তান্তর, প্রবর্তকসহ সনাতন ধর্মীয় সম্পত্তি রক্ষায় জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে কমিটি গঠন, ধর্মীয় যাদুঘর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রতœতাত্ত্বিক যাদুঘরে রক্ষিত দেব-দেবীর মূর্তিগুলো যথাযথভাবে প্রতিস্থান করে সনাতন ধর্মীয় কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সুরক্ষা করা, দক্ষিণ চট্টগ্রামে একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি ধর্ম বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠা, চন্দনাইশ থানাধান দেশপ্রিয় যতীন্দ্র মোহন সেনগুপ্তের জন্মধন্য ঐতিহ্যবাহী বরমা গ্রামকে শঙ্কের ভাঙন থেকে রক্ষা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং দেশপ্রিয় বাস্তুভিটা পুনরুদ্ধার করে সরকারিভাবে দেশপ্রিয় স্মৃতি যাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা, বোয়াখালী মেধম আশ্রম, চন্দনাইশের শুক্লাম্বর পীঠমন্দির, বাঁশখালীর ঋষিধাম আশ্রম সংস্কারের জন্য প্রধানমন্ত্রী তহবিল থেকে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ, শঙ্খ, কর্ণফুলি, শ্রীমতি নদীর ভাঙ্গন থেকে চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, বোয়ালখালী ও পটিয়ার বৃহৎ জনবসতি রক্ষা করা, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সরকারিভাবে আলোক সজ্জিতকরণ ও বিজয়া দশমীতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুভেচ্ছা বিনিময়ের আয়োজন।
এতে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা পূজা পরিষদের সভাপতি জিতেন কান্তি গুহ, সাবেক সভাপতি লায়ন দুলাল চন্দ্র দে, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অরূপ রতন চক্রবর্তী, তাপস কুমার দে, ঝুন্টু চৌধুরী, ডা. কাজল কান্তি বৈদ্য, অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার নাথ, অরূপ সেন, ভবশংকর ধর, অ্যাডভোকেট নিলু কান্তি দাশ, বিশ্বজিৎ দাশ, রুবেল দেব, আর কে দাশ রুবেল, নরেশ দেশ, আশীষ মিত্র, রুবেল শীল, দীপংকর দেবনাথ, নুপুর দাশ, দোলন দেব, অলক কুমার দে, গৌরী শংকর চৌধুরী, রাহুল মিত্র বাপ্পা, আশীষ দে মনি, শান্তনু দাশ, অরুন বিকাশ চৌধুরী, শিপ্লব সিংহ, ঋষি বিশ্বাস, ইন্দ্রজিত দাশগুপ্ত, অধীর দে, রাজু ধর (রাজ), রানা কুমার দেব, অলক দাশ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার ও দক্ষিণ জেলা পূজা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি ড. বিপ্লব গাঙ্গুলী।