নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিনিধি কক্সবাজার, নাইক্ষ্যংছড়ি »
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলির পর অস্ত্র ও গুলিসহ দুই জঙ্গি নেতাকে আটকের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের এক সদস্য বাদি হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখসহ সাতজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয় বলে জানান নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি টান্টু সাহা।
আসামিরা হলেন জামায়তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সামরিক শাখার প্রধান ও শুরা সদস্য মাসুকুর রহমান ওরফে রণবীর ওরফে মাসুদ এবং তার সহযোগী আবুল বাশার।
এদিকে গ্রেফতার হওয়া জামায়তুল আনসার ফিলহিন্দাল শারক্বীয়ার দুই সদস্য মাসুকুর রহমান ও আবুল বাশার নামে দুই জঙ্গি সদস্যকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই জঙ্গিকে তোলা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সময় র্নিধারণ করে আসামিদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক সৈয়দা সুরাইয়া আক্তার।
তারা হলেন, সিলেটের শাহপরান এলাকা মৃত আব্দুর সাত্তার এর ছেলে মাসুকুর রহমান ওরফে রনবীর (৪৪) আরেকজন মাদারীপুর জেলার রাজৈর এলাকার মৃত আব্দুর রউপ মৃধার ছেলে মো. আবুল বাশার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো.আবদুল মজিদ বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলার প্রেক্ষিতে দুই জঙ্গিকে বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা সুরাইয়া আক্তার এর আদালতে তোলা হলে পরবর্তী মামলার ধার্য তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করে দুই জঙ্গিকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত।
সোমবার ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-ব্লকে জামায়তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র এক শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ সশস্ত্র সদস্যরা অবস্থান করছে খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে সন্দেহজনক স্থানে পৌঁছালে র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্দেহজনক ৮ থেকে ১০ জন লোক দৌড়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের পাহাড়ি এলাকায় পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির পর র্যাব সদস্যরা দুইজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।