সুপ্রভাত ডেস্ক »
ভারতের রাজধানী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
দিল্লিতে মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়ার নীতি বদল করে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল এবং কয়েকজন মন্ত্রী ও নেতা মদ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন, এই অভিযোগেরই তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিটি।
এই মামলাতেই মি. কেজরিওয়ালের দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা ও দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীষ শিশোদিয়া এক বছরের বেশি সময় ধরে জেলে আছেন।
দলের সংসদ সদস্য সঞ্জয় সিং ওই একই মামলায় গত বছর অক্টোবর মাসে গ্রেফতার হয়েছেন।
আবগারি ‘দুর্নীতি’ মামলায় পর পর ন’বার সমন পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল ইডি। কিন্তু তিনি প্রতি বারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে অরবিন্দকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। দিল্লি হাই কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পরেই তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল ইডি। সেখানে দু’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর অরবিন্দকে গ্রেফতার করা হয়। পদে থাকাকালীন এই প্রথম দেশের কোনও মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হলেন। অরবিন্দের গ্রেফতারির পর রাজধানীতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে শুক্রবার পিএমএলএ আদালতে হাজির করানো হবে। এই আদালতে আর্থিক তছরুপের মামলাগুলিই ওঠে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন জানাবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
দিল্লির মন্ত্রী ও আপ নেত্রী অতিশী জানিয়েছেন, কেজরীওয়ালই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। তিনি জেলে বসে সরকার চালাবেন।


















































