সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন আর করোনা মহামারির কারণে চট্টগ্রামে ঠাঁই নেয়া উদ্বাস্তুর সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে নগর দরিদ্র ব্যবস্থাপনা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে টাইগারপাস চসিক কার্যালয়ে আয়োজিত নগর দরিদ্র উন্নয়নে ‘সুদিন’ কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, গ্রামীণ দরিদ্রদের নিয়ে যতটা আলোচনা হয় নগর দরিদ্রদের নিয়ে সে তুলনায় আলোচনা অনেক কম হয়। অথচ পরিবর্তিত জলবায়ু আর করোনার কারণে, নদীভাঙনে ঘর হারিয়ে, কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়ে অনেকেই চট্টগ্রাম শহরে আশ্রয় নিচ্ছে। এই শ্রেণির মানুষের কর্মসংস্থান ও জীবনমানের উন্নয়ন বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।
সাজেদা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমে চসিকের সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন মেয়র।
সভাপতির বক্তব্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রান্তিক শ্রেণির ভাগ্যবদলে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সেবার বহুমুখীকরণে গুরুত্বরোপ করেন।
সাজেদা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র উপদেষ্টা মো. ফজলু ল হক এতে স্বাগত বক্তব্য দেন।
সভার প্রধান উদ্দেশ্য চট্টগ্রামের বস্তি, ঝুপড়ি ও পথবাসীদের জন্য কাজ করার লক্ষ্যে সাজেদা ফাউন্ডেশনের ‘সুদিন’ কার্যক্রমের সাথে চসিকের সমন্বয়। সাজেদা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে শহরের অতি-দারিদ্র্য বিমোচনে ঢাকা, গাজিপুর, চাঁদপুর এবং চট্টগ্রামে ‘সুদিন’ কর্মসূচি চলছে।
সাজেদা ফাউন্ডেশনের শহরের দরিদ্রতা বিমোচনে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে সুদিন কর্মসূচির সৃষ্টি।
সভায় অংশ নেন কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, মোহাম্মদ সলিম উল্যাহ বাচ্চু, মো. নুরুল আমীন, আবদুস সালাম মাসুম, পুলক খাস্তগীর, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নীলু নাগ, শাহীন আকতার রোজী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি