চট্টগ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যকর চট্টগ্রাম গড়তে চান মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
গতকাল মঙ্গলবার কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং কিউনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকারে মেয়র বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর পদ্ধতিকে চট্টগ্রামে কাজে লাগাতে চাই আমি। জনস্বাস্থ্য রক্ষা আর বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদনের জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমি চাই চট্টগ্রাম কোরিয়ার সিউলের মতো একটি পরিচ্ছন্ন মডেল শহরে পরিণত হোক।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অবকাঠামো খাতে বর্তমানে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া চট্টগ্রামের যোগাযোগ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ব বাণিজ্যে আরো এগিয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে চট্টগ্রামের বিমানবন্দর সড়কসহ অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আধুনিকায়নে প্রধানমন্ত্রী আমাকে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প প্রদান করেছেন। এই প্রকল্পটি চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বদলে দিবে। এ প্রকল্প এলাকার সুবিধা কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রাম ইপিজেড, কোরিয়ান ইপিজেড এবং মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপন করে দক্ষিণ কোরিয়া ব্যাপকভাবে লাভবান হতে পারে।’
কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং কিউন বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়া নিঃস্বার্থভাবে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। অবকাঠামো এবং প্রযুক্তিখাতে দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা চাই দক্ষিণ কোরিয়ার অভিজ্ঞতা চট্টগ্রামে প্রয়োগ করে চট্টগ্রামকে উন্নত নগরীতে রূপান্তরে সহায়তা করতে।
চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রযুক্তি আর অভিজ্ঞতা দিয়ে সহায়তার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তাও করতে আগ্রহী দক্ষিণ কোরিয়া। যে কোন প্রকল্পের দায়িত্ব পেলে মানসম্পন্ন এবং টেকসই কাজ করে বিশ্বব্যাপী আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। উন্নয়ন প্রকল্পে দক্ষিণ কোরিয়ার সংশ্লিষ্টতা দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশকে লাভবান করবে।’
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাইয়ুন কিম চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী। বিজ্ঞপ্তি