সুপ্রভাত ডেস্ক »
বান্দরবানের রুমার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধারের পর থানচিতে ‘কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ)’ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
বান্দরবানের থানচি বাজার এলাকায় পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে কেএনএফ সদস্যদের প্রায় এক ঘণ্টা গোলাগুলি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাজার ও আশেপাশের এলাকায় গোলাগুলি শুরু হয় এবং রাত প্রায় সাড়ে ৯টার দিকে গোলাগুলি থামে।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা গোলগুলির ঘটনা শেষ হয় রাত সাড়ে ৯ টার দিকে। এসময় গুলির শব্দে ভারি হয়ে যায় রাতের আকাশ। বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকারে চেনা যায়নি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যরা কারা।
এ সময় বাজার ও সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ধারণা করা হচ্ছে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে এ গোলাগুলি চলছে। কারণ দুই দিন আগে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে থানচি বাজারে এসে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে হানা দিয়ে ১৭ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাদের ধরতে অভিযানে নামে থানচি থানার পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তাই নিজেদের রক্ষার্থে পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে লিপ্ত হয় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
থানচি বাজারের ২০০ থেকে ৩০০ গজের ভেতরেই রয়েছে থানচি থানা, একটি বিজিবি ক্যাম্প এবং থানচি বাজারের শেষ মাথায় রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চেকপোস্ট।
এর আগে, বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে থানচি বাজারে গুলি চালিয়ে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে থানচি বাজার ঘিরে ফেলে ডাকাতরা। তারা ব্যাংক ও এর আশপাশের এলাকায় অস্ত্রের মুখে সবার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর তারা ব্যাংক দুটির ভেতরে ঢুকে পড়ে।