চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যখাতকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি নতুন হাসপাতাল নির্মাণ করে চট্টগ্রামবাসীর জন্য উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চান চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
গতকাল রোববার নগরীর চকবাজার ওয়ার্ডের কাপাসগোলায় নাজমিয়ে দেমিরেল স্বাস্থ্য ক্লিনিকের উদ্বোধনকালে এ মন্তব্য করেন তিনি। এ ক্লিনিকের অর্থায়ন করেছে তুরস্কের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সরকারি বিভাগ কো-অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সি (টিকা)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী আরও বলেন, বর্তমানে অপ্রতুল স্বাস্থ্যসেবা কাঠামোর উন্নতিকরণে আমি নতুন হাসপাতাল গড়তে চাই। তুরস্ক এ হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করতে রাজি হলে আমি সিটি করপোরেশন থেকে ভূমি বরাদ্দ দেব এবং সব রকমের সহযোগিতা করব।
ক্লিনিকের উদ্বোধকের বক্তব্যে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, এই ক্লিনিকটি তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে জনগণকে সেবা দেবে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও সেবাখাতসহ প্রতিটি খাতের উন্নয়নে তুরস্ক পাশে থাকতে চায়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে তুরস্কের বাংলাদেশের অনারারি কনসুলেট জেনারেল সালাহউদ্দিন কাশেম খান বলেন, সিটি কপোরেশনের মেয়র যাতে চট্টগ্রামকে তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত করতে পারেন সেজন্য তুরস্কের কাছ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা নিশ্চিতে আমি কাজ করছি। ঢাকার তুলনায় চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যখাত অনেক পিছিয়ে আছে। এ ক্লিনিকটি চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের কো অপারেশন অ্যান্ড কো অর্ডিনেশন এজেন্সির (টিকা) বাংলাদেশি কো অর্ডিনেটর সেভকি মার্ট বেরিস, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমাম হোসেন রানা, কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নুর বানু চৌধুরী, কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রুমা বড়ুয়া, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সিদ্দিক প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে মেয়র রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে হাসপাতালের জন্য সম্ভাব্য স্থান হিসেবে নগরী সিটি করপোরেশন আইটি ইনকিউবেশন সেন্টারের পাশে প্রায় দশ একর ভূমি দেখান।
উল্লেখ্য, এ ক্লিনিকটি ১৯৯৬ সালে তুরস্কের নবম রাষ্ট্রপতি সুলেমান দেমিরেলের স্ত্রী নাজমিয়ে ডেমিরেলের নামে প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালে হাসপাতালটি সংস্কার ও আধুনিকায়নে নতুনভাবে কাজ শুরু করে তুরস্ক। আধুনিকায়নের পর বর্তমানে এ ক্লিনিকে ডায়াগনস্টিক ল্যাব, গর্ভবতী মায়েদের বিশেষ সেবা, জরুরি চিকিৎসাসেবা ও চিকিৎসা পেশায় জড়িতদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি