সুপ্রভাত ডেস্ক »
কক্সবাজারের পথে রেল চালুর জন্য চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু সংস্কারের কাজ শুরু হয় গত বছরের ১ অগাস্ট; বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল। তিন মাসের মধ্যে সেই কাজ শেষ করে ৩১ অক্টোবর থেকে ফের যান চলাচল শুরু হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে ৫ নভেম্বর কক্সবাজারের পথে রেল চলাচল শুরু হয়। তবে আট মাস পেরোলেও এখনো সেতুর সংস্কার কাজ শেষ হয়নি।
সেতুর বিকল্প হিসেবে চালু হওয়া তিনটি ফেরির মধ্যে দুটি ইতোমধ্যে বিকল হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার থেকে কেবল একটি ফেরিতে পারাপার চলায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বোয়ালখালী উপজেলার হাজারো মানুষ।
কর্ণফুলীর ওপারের বোয়ালখালীর অনেকেই প্রতিদিন নদী পার হয়ে শহরে আসেন চাকরি বা পেশাগত কারণে। শহর থেকেও অনেকে বোয়ালখালীতে যান নানা কাজে।
একটি ফেরির কারণে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা গাড়ির জট সৃষ্টি হচ্ছে দুই পাড়েই। ফেরিতে ওঠার জন্য আগে যেখানে ৫/১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হত, এখন সেই সময় লাগছে কয়েক ঘণ্টা।
চট্টগ্রাম নগরীর সঙ্গে বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার একাংশের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম এই কালুরঘাট সেতু। সড়ক পথের সব ধরনের যানবাহনের পাশাপাশি এ সেতু দিয়ে ট্রেনও চলাচল করে।
সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকেই দুটি ফেরিকে উভয়মুখী চলাচলের জন্য রাখা হয়েছিল, একটিকে রাখা হয়েছিল ‘স্ট্যান্ডবাই’। মাস খানেক আগে থেকেই একটি সেতু বিকল হয়ে যাওয়ার পর দুইটি সেতু দিয়েই পারাপার চলছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকল হয়ে যায় আরেকটি ফেরি।
চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, “তিনটি ফেরির মধ্যে একটি ফেরি আগে থেকে বিকল ছিল। অপর একটি ফেরির ইঞ্জিনের সার্কিট পুড়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে বন্ধ রয়েছে।
“যাত্রীদের ভোগান্তি দূর করতে আমরা চন্দ্রঘোনা থেকে একটি ফেরি সাময়িকভাবে কালুরঘাটে নিয়ে আসছি। আজকের (শুক্রবার) মধ্যেই ফেরিটি পৌঁছাবে বলে আশা করছি। দুইটি ফেরি চলাচল করলে ভোগান্তি কিছুটা কমবে।”
সূত্র: বিডিনিউজ