সুপ্রভাত ডেস্ক »
করোনাভাইরাস শনাক্তে দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে পিসিআর পরীক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন দেশে এখন নতুন শর্ত দেওয়া হচ্ছে যে, উড্ডয়নের ৪ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনাভাইরাসের পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে।
“বেশ কয়েকটি দেশ থেকে এই শর্ত দিয়েছে। সেজন্য গত কয়েক দিন থেকে আলোচনা চলছিল, আজকে এটা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে– ভেরি কুইকলি দুই বা তিন দিনের মধ্যে এয়ারপোর্টেই একটা টেস্টিং ফ্যাসিলিটিজ করা। অন্যান্য দেশেও যে রকম আছে। যাতে ফ্লাই করার আগের চার ঘণ্টার মধ্যে উনারা টেস্ট করতে পারেন।
“এখন পৃথিবীর বড় বড় এয়ারপোর্টে কুইক, ইনস্ট্যান্টলি পরীক্ষা করতে পারেন। আমরা বলি ৪৮ ঘণ্টা আগে টেস্ট লাগবে। আমাদের লোকেরা যে দেশে আছে, তারা সেখান থেকে পরীক্ষা করে আসবে। অনেক দেশ আছে ৪ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় দেয়।”
বাংলাদেশ থেকে এখন যাত্রার ৭২ বা ৪৮ ঘণ্টা আগে পিসিআর পরীক্ষা করে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশ সম্প্রতি উড্ডয়নের ৬ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে র্যাপিড পিসিআর টেস্টের সনদ চেয়েছে।
দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষায় র্যাপিড পিসিআর মেশিন না থাকায় প্রবাসীরা এখন সেসব দেশে যেতে পারছেন না। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে র্যাপিড পিসিআর মেশিন ও ল্যাব স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “যে যে দেশে যাবে, তার যে রকম রিকোয়ারমেন্ট লাগবে, যাতে এয়ারপোর্ট থেকেই সে টেস্ট করে নিতে পারে।”
বিমানবন্দরে পিসিআর পরীক্ষায় কত সময়েরে মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব হবে প্রশ্ন করলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “আমরা কথা বলে দেখেছি, ৪ ঘণ্টার মধ্যেই রিপোর্ট দিতে পারবে।”
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কবে থেকে পিসিআর পরীক্ষা চালু হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “আজকেই নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যত কুইকলি পারে দুই–তিনদিন বা সাতদিন, কুইক টাইমে না হলে তো আপনি ওই দেশে যেতে পারছেন না।
“আমাদের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট যাচ্ছে তিন জায়গা থেকে। প্রাইমারিলি ঢাকা বিমান বন্দরে হবে, কিন্তু আলোচনার মধ্যে তিনটি এয়ারপোর্টই আছে।”