সুপ্রভাত ডেস্ক »
গাজায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে ৭ সপ্তাহের লড়াইয়ের পর শুক্রবার প্রথম শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতিতে বড় কোনও বোমা, বিমান হামলা কিংবা রকেট হামলার খবর পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত।
লড়াইয়ে বিরতির এই সময়ে মিশরের থেকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে গাজায় ঢুকেছে অন্তত ৬০ ট্রাক ত্রাণ। হামাস এরই মধ্যে ১২ থাই জিম্মিকে মুক্তিও দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। খবর বিডিনিউজের।
ইসরায়েল জানিয়েছে, ৮ টি ট্রাকে করে গাজায় গেছে জ্বালানি। এর আগে এ সপ্তাহের শুরুর দিকে যুদ্ধ চলার সময়ে ত্রাণ ঢুকতে না পারার কারণে সেখানকার ২০ লাখেরও বেশি মানুষের বিপর্যয়ের মুখে থাকার সতর্কবার্তা দিয়েছিল জাতিসংঘের ওয়াল্ড ফুড প্রোগ্রাম।
শুক্রবার যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ায় কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে গাজার মানুষ। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিস শহরে মানুষ বাড়ির বাইরে রাস্তায় ধ্বংসস্তুপের ওপরই ঘোরাফিরা করছে। যুদ্ধের মধ্যে বাড়িঘর ছেড়ে আসা মানুষেরা অন্তত সাময়িকভাবে হলেও তলপি তলপা নিয়ে আবার বাড়ি ফেরার আশায় আছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা হাসিমুখে তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমি এখন খুবই খুশি। স্বস্তি পাচ্ছি। আমি বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। আমাদের হৃদয় প্রশান্তি পেয়েছে। কোনও খাবার, পানি ছাড়া বসে থাকতে থাকতে আমি ক্লান্ত। বাড়ি গেলেই আমরা বাঁচি। চা পান করা যাবে, রুটি বানানো যাবে।’
স্থানীয় এক বাসিন্দা হাসিমুখে তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমি এখন খুবই খুশি। স্বস্তি পাচ্ছি। আমি বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। আমাদের হৃদয় প্রশান্তি পেয়েছে। কোনও খাবার, পানি ছাড়া বসে থাকতে থাকতে আমি ক্লান্ত। বাড়ি গেলেই আমরা বাঁচি। চা পান করা যাবে, রুটি বানানো যাবে।’
উত্তর গাজার যুদ্ধক্ষেত্রে শুক্রবার যুদ্ধবিরতি শুরুর পর চোখে পড়েনি কোনও জঙ্গিবিমান; গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যেখানে অহরহই জঙ্গি বিমান থেকে বোমা পড়েছে। বিমান হামলা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি স্থলভাগেও কোনও বিস্ফোরণ ঘটেনি কিংবা শোনা যায়নি হামাসের ছোড়া কোনও রকেটের শব্দ।
কেবল বিকালে এক জায়গায় ধোঁয়ার কুন্ডলি দেখা গেছে। মাঝে মাঝে গুলি চলা এবং অন্যান্য ছোটখাট ঘটনা ঘটার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে ইসরায়েল এবং হামাস।
গাজার উত্তর প্রান্ত থেকে সরে যেতে দেখা গেছে সারি সারি ইসরায়েলি ট্যাংক। ওদিকে, দক্ষিণের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে ঢুকেছে ত্রাণবাহী ট্রাক।
বিকালে গাজায় হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের মধ্যে নারী ও শিশুসহ ১৩ জনকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, হামাসের হাতে বন্দি ১২ থাই নাগরিক মুক্তি পেয়েছে।