চট্টগ্রামের সাথে ঢাকার রেল যোগাযোগ সহজ ও দ্রুত করার জন্য প্রায় ৫৪ বছর আগে নেয়া প্রকল্প এখনো আলোর মুখ দেখেনি। সময় বাঁচাতে ১৯৬৯ সালে ঢাকা-লাকসাম ৯০ কিলোমিটার কর্ড লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। আর এই কর্ড লাইন বাস্তবায়ন হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের দূরত্ব ৩২০ কিলোমিটার থেকে ১১০ কিলোমিটার কমে ২১০ কিলোমিটারে নেমে আসতো। তাহলে মাত্র দুই থেকে আড়াই ঘণ্টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে রেলপথে যাতায়াত করা সম্ভব হতো।
মাঝে বুলেট ট্রেনের জন্য হাইস্পিড রেল লাইন নির্মাণে হোঁচট খাওয়ার পর এখন আবারো কর্ড লাইনে ঝুঁকছে সরকার। আলাদা রেলপথ মন্ত্রণালয় হওয়ার পর চারজন মন্ত্রী দায়িত্ব পালন করলেও কর্ড লাইন বাস্তবায়ন হয়নি। কর্ড লাইন নির্মাণে সরকারের আগ্রহের কথা অনেকদিন ধরে শুনলেও বাস্তবে তেমন কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। যদিও রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন রেলপথ উন্নয়ন প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ঢাকা-লাকসাম কর্ড লাইনের বিকল্প নেই।
সংবাদমাধ্যমে জানা যায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রেলভবনে ছয়টি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আবারো বলেন রেলওয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যৎ কাজের একটি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ-কুমিল্লা/লাকসাম রুটে কর্ড লাইন নির্মাণ করা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেন যোগাযোগ উন্নয়নে বুলেট ট্রেন নয়, সবচেয়ে ভালো বিকল্প কর্ড লাইন। পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ ইলেকট্রিক ট্র্যাকশনে রূপান্তর। এতে ব্যয় হবে হাইস্পিড রেলপথ নির্মাণের পাঁচ ভাগের এক ভাগ। অল্প খরচে ও অল্প সময়ে কর্ড লাইন নির্মাণ সম্ভব। এ দুই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মাত্র দুই থেকে আড়াই ঘণ্টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে।
কর্ড লাইন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সাধারণ যাত্রীরাও সাশ্রয়ী ভাড়ায় সহজে ভ্রমণ করতে পারবেন। রেলের আয় বাড়ার সঙ্গে সেবাও বাড়বে। রেলে আমূল পরিবর্তন আনতে কর্ড লাইন, ইলেকট্রিক ট্র্যাকশনের কোনো বিকল্প নেই।
এ মুহূর্তের সংবাদ