সুপ্রভাত ডেস্ক »
শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তার জামিনের মেয়াদ আগামী ২৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে এই মামলায় সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ড. ইউনূসসহ চারজনের করা আপিল শুনানির জন্য ২৩ মে তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
জামিনের মেয়াদ বাড়াতে এবং আপিল শুনানি মুলতবি চেয়ে ড. ইউনূসসহ চার কর্মকর্তার করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়। অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
আদালতে ইউনূসের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ড. ইউনূস।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমি দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই নতুন বছর যাতে শান্তিপূর্ণ হয়। এই নতুন বছরে আমরা নিজেদেরকে নতুন করে যেন আবিষ্কার করতে পারি। এই নতুন বছরে আমরা যেন আমাদের তরুণ সম্প্রদায়কে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন দেখাতে পারি। আমরা শান্তিময় পরিবেশে বসবাস করি। আমরা যেন সমস্ত জাতিকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যেতে পারি। সেটার জন্য আমরা সবাই মিলে একত্রে চেষ্টা করি, এটাই দেশবাসীর প্রতি আমার আবেদন, আমরা একটা সুন্দর দেশ গড়ে তুলি, সুন্দরভাবে বাস করি।
‘আমরা কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, শঙ্কার মধ্যে না থাকি। শঙ্কামুক্তভাবে জীবনযাপন করি। আইনের শাসনের মধ্যে জীবনযাপন করি। আমরা যেসব স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই যার যার মতো করে, বিশেষ করে তরুণদের মনে যেসব স্বপ্ন আছে এবং আরও স্বপ্ন আসবে, সে স্বপ্নগুলো পূরণ করতে যেন আমরা তাদের সহায়তা করি। এটাই আমাদের আজকের শপথ।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালত যেভাবে হুকুম করেন, সেভাবেই আসছি। আমার তো করার কিছু নেই।