সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড টাইমড আউটের আবেদনের সমালোচনা করেছেন, যা সমালোচনা আসলে দলের বিরুদ্ধে গেছে। এনিয়ে বিসিবি ডোনাল্ডের ওপর নাখোশ। ডোনাল্ডকে কি রাখা হবে? গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ হয়ে দলের বিরুদ্ধে যায় এমন মন্তব্য করায় ডোনাল্ডকে পদচ্যুত করতে পারে বিসিবি। এটা কি সত্য?
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের জবাব, ‘না। ওই অজুহাতে কেন তাকে না করে দেওয়া হবে? আমরা তো ডোনাল্ডকে আগেই জানিয়েছি যে, আপনার ওই স্পর্শকাতর ইস্যুতে মুখ খোলা ঠিক হয়নি। ঠিক কারণ দর্শানো নোটিশ না। তবে ম্যাথিউসের টাইমড আউট ইস্যুতে সাকিবের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা মানে নিজের এখতিয়ারের বাইরে কথা বলা। আমরা সেটাই ডোনাল্ডকে জানিয়েছি। এখন সে কী করবে, কী বলবে, সেটা তার ব্যাপার। পরের অংশেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি দিয়েছেন জালাল ইউনুস। তিনি বলেন, ‘শুনছি ডোনাল্ড নিজেই নাকি থাকতে চাচ্ছেন না। মানে বিসিবির সঙ্গে চুক্তি আর নবায়ন করতে ইচ্ছুক নন তিনি।’ সেটা কি সাকিবের আচরণ নিয়ে কথা বলে বোর্ডের কড়া চিঠি পাবার কারণে? জালালের জবাব, ‘না, না। তা হবে কেন? আসলে আমার সঙ্গে এখনো চূড়ান্ত কথাবার্তা হয়নি। বিশ্বকাপ শেষ হলে কথা হবে আশা করি। তবে আমি যতটুকু জেনেছি ডোনাল্ড আগে থেকেই চুক্তি নবায়ন করতে চাচ্ছেন না। কারণ সে তার পরিবারকে সময় দিতে চায়। অনেকদিন হলো কোচিংয়ের কারণে সেভাবে পরিবারকে সময় দিতে পারছে না। তাই হয়তো এবার আর আমাদের (বিসিবির) সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে নাও পারে।’
বিসিবি পরিচালক ও জাতীয় দল পরিচালনা এবং পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান আরও জানান, বিশ্বকাপের ঠিক পরপরই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটি সিরিজ। প্রথম দেশে, তারপর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে। তাই আমরা কোচদের চুক্তির মেয়াদ ৩০ নভেম্বর থেকে বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করেছি। সেটা সকল কোচকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। তারপরও কেউ যদি থাকতে না চায়, তাহলে তো আর কিছু করার নেই। তবে আমরা চাই, তারা সবাই এই দুই সিরিজ শেষ করুক।’ খবর জাগোনিউজ’র