মহানগর বিএনপির সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে ‘মিথ্যা মামলা’ দিয়ে হয়রানি অব্যাহত রাখা হয়েছে। ‘মিথ্যা মামলায়’ গ্রেফতারকৃত বন্দিরা কারাগারে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে। করোনার কারণে কারাবন্দিদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার বিধান থাকলেও সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। একটি কামরায় ৬০/৭০ জন বন্দিকে গাদাগাদি করে রাখা হচ্ছে।
কারাগারে পানির সমস্যা প্রকট আকার ধারন করেছে। পানির অভাবে বন্দিরা ঠিকমত গোসল করতে পারেনা। খাবার পানির সংকট ও তীব্র গরমে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তিনি বন্দিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কারাগারের খাবারের মান বৃদ্ধি করে পানি ও বিদ্যুতের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
গতকাল রোববার বিকালে প্রবর্তক মোড়স্থ ট্রিটমেন্ট হাসপাতালের সামনে কারামুক্ত বিএনপি নেতাকর্মীরা সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা হয়েছে, অসংখ্য নেতাকর্মী গুম ও খুনের শিকার হয়েছে। কিন্তু ‘মিথ্যা মামলা’ ও কারাগারকে বিএনপির নেতারা এখন ভয় পায় না। তারা মাটি ও মানুষের অধিকার আদায় করতে শতবার কারাগারে যেতে প্রস্তুত আছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, সহ শ্রম সম্পাদক আবু মুছা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, কারামুক্ত নেতা নগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, বায়েজিদ থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ডা.ফরহাদ মো. তালহা, পাঁচলাইশ থানা বিএনপি সহ সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ হোসেন, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ খোকন, সহ-প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান জুয়েল, সহ-সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাবু, আমিন শিল্পাঞ্চল ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাসান সওদাগর, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রচার সম্পাদক আকবর হোসেন মানিক, নগর ছাত্রদল নেতা ফখরুল ইসলাম শাহীন, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন ভূট্টো, হুমায়ুন কবীর, খাজা স্বপন, মোহাম্মদ নাছির প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর