চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ডায়াবেটিক সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য না হলেও অবশ্যই নিয়ন্ত্রণযোগ্য। নিয়মবিধি ও শৃঙ্খলা মেনে চললে স্বাভাবিক জীবন-যাপন সচল রাখা যায়। এমনকি ক্রীড়া ক্ষেত্রেও চর্চা ও অংশগ্রহণে কোন ধরনের সমস্যা থাকে না।
তিনি ১৪ নভেম্বর সকালে জাকির হোসেন রোডের ডায়বেটিক হাসপাতালের সম্মুখে বিশ্ব ডায়বেটিক দিবস পালন ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজিত র্যালিপূর্ব সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন।
পরিমিত আহার ও পরিশ্রম ডায়বেটিক আক্রান্তদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমায়। এবার বিশ্ব ডায়বেটিক দিবস-২০২১ সালের প্রতিপাদ্য হলো ‘ডায়বেটিকের সেবা নিতে আর দেরী নয়’।
তিনি উল্লেখ করেন, ঢাকাসহ সারাদেশে ডায়বেটিক আক্রান্তদের জন্য বিশ্বমানের একাধিক হাসপাতাল রয়েছে। এগুলোতে ডায়বেটিক রোগের পাশাপাশি অন্যান্য রোগেরও চিকিৎসা ও গবেষণা হয়। তাই এই হাসপাতালগুলো সরকারি আনুকুল্য নিয়ে পুরোপুরি স্বয়ং সম্পূর্ণ এবং আদর্শ চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
চট্টগ্রাম ডায়বেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী সভাপতিত্বে ও সদস্য হাসান মুরাদের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির সহ-সভাপতি শওকত হোসেন কমরু, শাহজাদা এনায়েত উল্লাহ, আবিদা মোস্তাফা, কোষাধ্যক্ষ মো. জাফর, নিজাম উদ্দিন মাহমুদ, মো আলী চোধুরী, অধ্যক্ষ সানাউল্লাহ, চসিক পরিবেশ উন্নয়ন স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি শৈবাল দাশ সুমন, অধ্যাপক মাসুম চৌধুরী প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, অনেক বিত্তশালীদের চাইতে একজন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী মানুষ অনেক বেশি সুখী। চট্টগ্রাম ডায়বেটিক হাসপাতালকে জেনারেল হাসপাতালে রূপান্তর করে আমরা যে সেবা দিচ্ছি তা চট্টগ্রামবাসীদের জন্য একটি বড় পাওনা।
তিনি বিশ্ব ডায়বেটিক দিবসটি সম্পর্কে বলেন, বিশ্ব ডায়বেটিকস ফেডারেশন (আইডিএফ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯১সালের ১৪ নভেম্বরকে বিশ্ব ডায়বেটিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। বিজ্ঞপ্তি