ডার্ক চকোলেটে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে
রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে খাওয়াদাওয়ায় অনেক বারণ চলে আসে। প্রতিদিনের পাত থেকে বাদ চলে যায় অধিকাংশ ‘ভাল’ খাবার। ডায়াবেটিস মানে মিষ্টির সঙ্গে চিরতরে বিচ্ছেদ। মনখারাপ হলে পছন্দের চকোলেটও খাওয়া যাবে না। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, ডায়াবেটিস মানেই চকোলেট খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে, তার কোনও মানে নেই। ডায়াবেটিকরা অনায়াসে ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন। বরং ডার্ক চকোলেটে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম করে ডার্ক চকোলেট খাওয়া যেতেই পারে।
ডার্ক চকোলেটের গুণ কিন্তু এখানেই শেষ নয়। এই চকোলেটের উপকারিতার শেষ নেই। শরীরের যত্নে বিভিন্ন ভাবে উপকার করে ডার্ক চকোলেট।
১) ডার্ক চকোলেট হৃদ্যন্ত্রকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। প্রতি দিন দু’তিন টুকরো চকোলেট খেলে তা হৃদ্যন্ত্রের জন্য ভাল। ডার্ক চকোলেটে থাকা কোকো রক্তে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
২) ডার্ক চকোলেটের মধ্যে থাকে কোকো, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। কোকোর মধ্যে থাকে ভরপুর মাত্রায় ফ্ল্যাভনয়েড, যা মস্তিষ্কে রক্তের সঞ্চালনা বাড়িয়ে দেয়। শরীর-মন চনমনে হয়ে ওঠে, যার ফলে চিন্তাশক্তি ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অনেকে আবার মনে করেন, দীর্ঘ দিন স্মৃতিশক্তি অটুট রাখতেও এই চকোলেট দারুণ উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, যে সব মহিলা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বেশি ডার্ক চকোলেট খান তাঁরা মানসিক চাপ মুক্ত থাকেন।
৩) বার্ধক্যের প্রভাব কমাতেও ডার্ক চকলেটের বিশেষ গুণ রয়েছে। তাই যাঁরা অকালবার্ধক্য ঠেকাতে চান, তাঁরা অবশ্যই ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। এটি অ্যান্টি-এজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। ডার্ক চকোলেটে যে বায়োঅ্যাক্টিভ পদার্থ থাকে তা ত্বকের পক্ষে উপকারী হতে পারে। ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে ত্বক উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করে ডার্ক চকোলেট।
৪) ডার্ক চকোলেট খেলে ধমনীতে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি হয়। যার ফলে মস্তিষ্ক ধমনীকে খানিক বিশ্রাম নেওয়ার বার্তা পাঠায়। তাই রক্ত চলাচল সহজ হয় এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা