সুপ্রভাত ডেস্ক »
বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ডলার-রেট নির্দিষ্ট করে দেওয়ার দাবি ব্যবসায়ীদের
বাংলাদেশ ব্যাংককে এই সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নির্দেশনা জারি করার আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
রবিবার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার সময় অফিসিয়াল এক্সচেঞ্জ রেট থেকে ডলারের বেশি দামের সম্মুখীন হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংককে এই সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নির্দেশনা জারি করার আহ্বান জানিয়েছে।
রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় ডলারের অভাবে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছে না।
তিনি আরো জানিয়েছেন, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ঘোষিত রেটে ডলার পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, এলসি খোলার সময় দেখা যাচ্ছে ডলারের দাম অনেক বেশি। তাই এটা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নির্দেশনা দেওয়া উচিত।
সাংবাদিকদের আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী বলেন, গভর্নর জানিয়েছেন যে বাংলাদেশের বর্তমান অ্যাকাউন্ট যেটা আগে নেগেটিভ ছিল সেটা এখন পজিটিভ হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট ভালো করতে চান গভর্নর। সেটার জন্য আমাদেরকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিসিআই সভাপতি বলেন, গভর্নরের ধারণা এই বছরের মধ্যে ডলার সংকট কেটে যাবে।
তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এলসি খোলার কাজটাকে মনিটার করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিল। এর ফলে এখন আর আগের মতো ওভার ইনভয়েসিং, আন্ডার ইনভয়েসিং হচ্ছে না। এবং বর্তমানে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট পজেটিভ দেখাচ্ছে।
আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী আরো বলেন, এটার কারণে গভর্নর আশাবাদী যে সহসাই ডলার সংকট দুর হবে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক যে পদক্ষেপ নিয়েছে তার উপর আমরা (বিসিআই) বিশ্বাস রাখতে চাই। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলে আমাদেরও বিশ্বাস।” আনোয়ার-উল আলম উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ব্যাংক ঋণের সুদের হার দিন দিন বাড়ছে এবং এতে শিল্পের জন্য টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, আমরা ইন্ডাস্ট্রির ভেতরে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি এবং এর কারণে নানারকম প্রশ্ন জাগছে। এ বিষয়ে আমাদেরকে গভর্নর জানিয়েছেন, এখন তারা মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে চাচ্ছেন। তাই ঋণের সুদ হার বাড়ানো হচ্ছে। এখন এর বাইরে আর কিছু করার নেই। বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল আলম উল্লেখ করেছেন, ব্যাংকগুলি অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কথা বলে করে নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য ট্রেজারি বন্ডের দিকে ঝুঁকছে।তিনি বলেন, যদি বন্ড প্রচার করা হয় তাহলে ব্যাংকগুলো সেগুলোতে বিনিয়োগ করবে যেহেতু এটি নিরাপদ বিনিয়োগ।