৭ জেলে উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
কক্সবাজারের টেকনাফ সাগর উপকূলে দীর্ঘদিন ধরে মাছ ধরার ফিশিং ট্রলারে ডাকাতি, জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকা- চালাচ্ছে বেশ ক’টি অস্ত্রধারী দস্যুবাহিনী। এসব দস্যু বাহিনীর বেশিরভাগ সদস্যই রোহিঙ্গা। তাদের দমনে স্থানীয় প্রশাসনসহ কোস্টগার্ড বাহিনী নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে এসব দস্যু বাহিনীর সদস্যরা ধরা পড়লে আইনের ফাঁক-ফোকরে বেরিয়ে আবারও অপরাধ কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ে।
ফিশিং ট্রলার থেকে মাছ লুট এবং অসহায় জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ে জড়িত এমন অস্ত্রধারী ৫ জলদস্যুকে গত ১২ অক্টোবর (সোমবার) গভীর রাত ৩টার দিকে আটক করেছে কোস্টগার্ড সদস্যরা।
টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীপাড়া সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের ১২ নটিক্যাল মাইল দুরে একটি ট্রলার থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
কোস্টগার্ডের পাঠানো প্রেস বার্তা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ড জানতে পারে একটি ফিশিং ট্রলারে বেশ কয়েকজন স্থানীয় জেলেকে জলদস্যুরা বেঁধে রেখেছে। উক্ত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী, এসময় দস্যুদের ট্রলারে বেঁধে রাখা ৭ জন বাংলাদেশি জেলেকে উদ্ধার করা হয়।
ওই ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে দেশি তৈরি ২টি একনলা বন্দুক, ৮ রাউন্ড কার্তুজ, ১০টি বার্মিজ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ডাকাতি কাজে ব্যবহার করা ট্রলারটিও জব্দ করে কোস্টগার্ড।
আটক দস্যুরা হল- মো. বাকগুলা (২২), মো. শুকুর (২০), রবি আলম (২২), নুরুল আমিন (৩০) ও শফি আলম (২০)। আটকরা সবাই মিয়ানমার আকিয়াব জেলার আড়িপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
সূত্রে জানায়, ডাকাত দলের কবল থেকে উদ্ধার করা বাংলাদেশি জেলেরা সবাই টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়ন নোয়াখালী পাড়ার বাসিন্দা। এসময় সাগরে ডুবে যাওয়া বাংলাদেশি জেলেদের একটি ফিশিং ট্রলারও উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার এম হায়াত ইবনে সিদ্দিক জানান, সাগর পথে মাদক পাচার প্রতিরোধ করার পাশাপাশি ডাকাত ও জলদস্যুদের ধরতে কোস্টগার্ড সদস্যরা সদা প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, স্থানীয়রা অপরাধীদের অবস্থানের সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে তাহলে অভিযানে আরো সফলতা আসবে।