জ্বালানি মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা সুজনের
দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর যাবত আবাসিক খাতে ২৫ হাজারেরও অধিক গ্রাহক টাকা জমা দিয়েও নতুন গ্যাস সংযোগ না পাওয়ায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু’র হস্তক্ষেপ কামনা করলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
গতকাল শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ সময় সুজন বলেন চট্টগ্রাম হচ্ছে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী। দেশের প্রধানতম সমুদ্র বন্দর, আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, সিইপিজেড, কেইপিজেড, তেল শোধনাগার, নৌ-বিমান ঘাটিসহ প্রধানতম শিল্প কারখানা সবই চট্টগ্রামে অবস্থিত। সেদিক থেকে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অত্যধিক। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে চট্টগ্রামের আবাসিক খাতে ২৫ হাজারেরও অধিক গ্রাহকের কাছ থেকে দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর যাবত টাকা নিয়েও কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের নতুন গ্যাস সংযোগ প্রদান করছে না। গৃহস্থালী কাজে ব্যবহারের জন্য গ্যাস পাওয়া একজন গ্রাহকের মৌলিক অধিকার। প্রধানমন্ত্রী জনগণের মৌলিক অধিকারগুলো সুনিশ্চিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে প্রজাতন্ত্রের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সুকৌশলে সরকারের এসব সুযোগ সুবিধাগুলো প্রাপ্তি থেকে জনগনকে বঞ্চিত করছে। সরকার এবং জনগনের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে দূরত্ব সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে তারা। ইতিমধ্যে দেশের জনগনের গ্যাসের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে এলএনজি আমদানি করছে সরকার। কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রামের জনগণকে আশ্বস্ত করেছিল এলএনজি আসার পরে নগরীতে নতুন গ্যাস সংযোগ চালু হবে। জনগণও আশ্বস্ত হয়েছিল এলএনজি হয়তো চট্টগ্রামের জনগণের দুঃখ ঘুচাতে সক্ষম হবে।
এতো কিছুর পরও চট্টগ্রামে নতুন গ্যাস সংযোগ প্রদান না করাটা চট্টগ্রামের জনগণের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ বলে মনে করি। এছাড়া অবৈধভাবে কেউ যেন গ্যাস সংযোগ নিতে পারে সেদিকে কঠোর নজর রাখার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, আমরা এও জানি যে কতিপয় শিল্পগ্রুপের অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে সরকার বিশাল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গ্রাহকরা অফিসে গেলে তাদের সাথে খারাপ আচরণ না করে তারা যাতে ভালো ব্যবহার পান সেদিকে দৃষ্টিদানেরও অনুরোধ জানান সুজন। বিজ্ঞপ্তি