নিজস্ব প্রতিবেদক >
চট্টগ্রাম নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজের কমতি নেই। তারপরও জলাবদ্ধতার দুর্বোগ থেকে মুক্তি মিলছে না নগরবাসীর। দিনদুপুরে ঝলমলে রোদে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় নগরের নিম্নাঞ্চল। আবার জোয়ার নামলেও নামে না পানি।
নগরের জিইসি, দুই নম্বর গেট এলাকাসহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, রোদ হাসছে আকাশে, রাস্তায় হাঁটুপানি। জানা যায়, গতকাল শুক্রবার পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে নগরের এসব এলাকায় হাঁটুপানি জমেছে। কালো এ পানিতে রয়েছে উদ্ভট এক দুর্গন্ধও। কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদে ছুটে চলা মানুষ বাধ্য হয়ে নোংরা পানিতে হাঁটতে। বিকল্প রাস্তা না পেয়ে অনেকে রিক্সার পেছনে উঠে পড়েছে। আবার কয়েকজন মিলে রিক্সা ভাড়া করে পানি পাড়ি দিচ্ছে।
একই সময়ে নগরের আগ্রাবাদ, শান্তিবাগ, হালিশহর আবাসিক এলাকা, সিডিএ আবাসিক এলাকা, বাকলিয়া, খাতুনগঞ্জ, চান্দগাঁওসহ বেশ কিছু এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকেছে। আবার কোথাও কোথাও মূল সড়ক উঁচু করে ফেলায় অলিগলিতে মানুষের ঘরে ঢুকে পড়েছে পানি।
তবে জোয়ারের পানি নগরে উঠলেও জোয়ার কমে যাওয়ার সাথে সাথে নামেনি পানি। জমে ছিল অনেক্ষণ। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী এতেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তারা বলছেন, জোয়ারের পানি আসতেই পারে, তবে জোয়ার চলে গেলেও কেন পানি যায় না? এ বিষয়ে কি সিটি করপোরেশনের কোন দায়বদ্ধতা নেই? আসন্ন বর্ষা নিয়ে তাদের কী উদ্যোগ তা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন ওঠে।
সিডিএ আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী সোলেমান আলম বলেন, ‘মেয়র আসেন মেয়র যায়, কিন্তু এ এলাকার পানি যায় না। নগরের মূল সড়কগুলো উঁচু করাতে এতে পানি দেখা যায় না। তবে অলিগলিগুলো পানিতে ভরপুর। জোয়ার চলে যাওয়ার ১ ঘণ্টা পরে পানি নেমেছে। কারণ নালাগুলো সব ময়লা আবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। তবে অপেক্ষায় রইলাম জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প শেষ হলে কী হয় দেখতে।’
বাকলিয়া এলাকার মাহফুজ নামে এক বাসিন্দা বলেন, বাকলিয়ায় পানি উঠেনি এমন নজির নেই। জোয়ারের পানি আমাদের জন্য নতুন কিছু না।
এ মুহূর্তের সংবাদ