নিজস্ব প্রতিবেদক »
নগরীতে কোভিড-১৯ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাকালীন সময়ে দুস্থ শিল্পী, অস্বচ্ছল নির্মাণ শ্রমিক, ভ্যান চালক ও দিনমজুরদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ৬১০ প্যাকেট উপহার সামগ্রী পৃথক পৃথকভাবে বিতরণ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের নেতৃত্বে নগরীর জামালখানস্থ ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ৬১০ জন অস্বচ্ছল মানুষের মাঝে এসব উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) বদিউল আলম। প্রতি প্যাকেট উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল ৮ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১ লিটার সয়াবিন তেল ও ১টিঁ সাবান।
পৃথক উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস.এম জাকারিয়া, এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী, জেলা শিল্পকলা একাডেমি কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাট্য ব্যক্তিত্ব সাইফুল আলম বাবু, জেলা কালচারাল অফিসার মোসলেম উদ্দিন সিকদার ও নাট্য ব্যক্তিত্ব তাপস শেখর দাশ।
উপহার সামগ্রী বিতরণকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) বদিউল আলম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাকালে দুস্থ শিল্পী, কলাকুশলী, অস্বচ্ছল নির্মাণ শ্রমিক, ভ্যান চালক, দিনমজুর, বেদে ও অন্যান্য শ্রেণি পেশার কর্মহীন মানুষদের ত্রাণের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। লকডাউনে কর্মহারা কেউ সরকারি ত্রাণ পাওয়া থেকে যাতে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নজরদারি করা হচ্ছে। আমরা চাই এই পরিস্থিতিতে কেউ অনাহারে ও কষ্টে থাকবেনা। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে যারা প্রকাশ্যে সাহায্য নিতে লজ্জাবোধ করে সাহায্য চেয়ে আমাদের কাছে টেলিফোন ও এসএমএস করছেন তাদের বাসা-বাড়িতে গিয়ে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, মহামারী করোনা থেকে রক্ষা পেতে হলে মাস্ক পরিধানের পাশাপাশি শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে একজন আরেক জনের কাছ থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দুরত্ব বজায় রাখতে হবে।
স্বেচ্ছাসেবক টিম বেটার ফিউচার বাংলাদেশ উপহার সামগ্রী বিতরণ কাজে সহযোগিতা করেন।