আলোচনায় বিভাগীয় কমিশনার
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাপ্ত ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মাননা ও প্রথম আন্তর্জাতিক অর্জন। ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির পর বঙ্গবন্ধু বিশ্ববন্ধুতে পরিণত হয়েছেন।
স্বীয় কর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের পরিমণ্ডল অতিক্রম করে জাতির পিতা বিশে^র শোষিত মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। শুধু দেশেই নয়, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।
গতকাল রোববার বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ ও জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল।
সভায় অতিথিবৃন্দ ও শিক্ষার্থীদেরকে সাথে নিয়ে কেক কেটে ও বঙ্গবন্ধু স্মারক ডাক টিকেট উন্মোচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়। শেষে জেলা শিল্পকলা ও শিশু একাডেমিতে আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জীবনী বিষয়ক কুইজ ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেনশিয়াল কমিটির সভায় বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলন ও বিশ্বশান্তির সপক্ষে বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদানের জন্য শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। পৃথিবীর ১৪০ দেশের শান্তি পরিষদের ২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বঙ্গবন্ধুকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই আন্তর্জাতিক সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জুলিও কুরি’ পুরস্কার প্রাপ্তির পূর্বেই বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ সংগ্রাম করতে গিয়ে জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি কাটিয়েছেন। আমার দৃষ্টিতে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যায়নধর্মী হলো ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পুরস্কার।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, বিশ্ব মানবতায় অবদান রাখার কারণে বিশ্ব শান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ পদকে ভূষিত করেন। বিশ্বশান্তি পরিষদের এ পদক ছিল জাতির পিতার কর্মের স্বীকৃতি ও বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান। বিজ্ঞপ্তি