সুপ্রভাত ডেস্ক »
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর চেয়ারম্যান ইমরান খান আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইসলামাবাদ হাই কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।শুক্রবার ইসলামাবাদ হাই কোর্টের (আইএইচসি) একটি ডিভিশন বেঞ্চ ইমরানের জামিন মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছে ডন অনলাইন। একদিন আগে বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সুপ্রিম কোট আইএইচসি প্রাঙ্গণ থেকে পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতার গ্রেপ্তারকে ‘অবৈধ ও বেআইনি’ বলে উল্লেখ করেছিল। বিচারক মিয়ানগুল হাসান আওরঙ্গজেব ও বিচারক সামান রাফাত ইমতিয়াজের ডিভিশন বেঞ্চ আদালতের ২ নম্বর কক্ষে ইমরানের জামিনের আবেদনের শুনানি করেন। এ সময় ইমরানের আইনজীবীরা অতিরিক্ত আরও চারটি আবেদন দাখিল করেন। এসব আবেদনে ইমরানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা একত্রিত করার এবং সেসব মামলার বিস্তারিত জানানোর জন্য কর্তৃপক্ষকে নিদের্শনা দিতে আইএইচসির কাছে আর্জি জানানো হয়।
শুনানি চলাকালে ইমরান বলেছিলেন, তাকে আবার গ্রেপ্তার করা হলে দেশজুড়ে অশান্তি দেখা দিতে পারে, তবে তিনি এমনটি চান না। হাই কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী এ দিন স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় শুনানি শুরুর কথা থাকলেও প্রায় দুই ঘণ্টা দেরিতে তা শুরু হয়। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা আদালত কক্ষের বাইরে নিরাপত্তা তল্লাশি পরিচালনা করছিলেন, যার কারণে শুনানি শুরু হতে দেরি হয়। খবর বিডিনিউজ।
দুপুর ১টায় শুনানি শুরু হলেও জুমার নামাজের জন্য কিছুক্ষণের মধ্যেই তা মুলতবী করা হয়। অপরদিকে জিও নিউজ জানিয়েছে, আদালত কক্ষে ইমরানের পক্ষে শ্লোগান দেওয়া হলে বিচারকদ্বয় তাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ মন্তব্য করে কক্ষ ত্যাগ করেন। দুপুর আড়াইটার পর শুনানি আবার শুরু হয়। এ সময় নিজের আইনজীবী দলের সঙ্গে ইমরান আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন আর তার আইনজীবী খাজা হ্যারিস তার যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। হ্যারিস যুক্তি তুলে ধরে আদালতকে বলেন, ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) ইমরানকে যেভাবে গ্রেপ্তার করে তা অবৈধ ছিল।
তিনি জানান, অনুসন্ধান আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তে রূপ নিলে এনএবি শুধু একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে। হ্যারিস আরও জানান, পিটিআই জানতে পেরেছে এনএবি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আনুষ্ঠানিক তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছিল। তিনি বলেন, পিটিআই প্রধান এনএবির অনুসন্ধানের প্রতিবেদন চাইতে ৯ মে আইএইচসিতে এসেছিলেন, কিন্তু আদালত কক্ষে প্রবেশের আগেই তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়।
অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো ওই সময় ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ আচরণ করেছে বলে হ্যারিস অভিযোগ করেন। আদালত তখন ইমরানের জামিন আবেদন গ্রহণ করেন এবং এনএবির প্রসিকিউটর জেনারেল ও ইমরানের আইনজীবীদের পরবর্তী শুনানির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন। আদালত জানান, ইমরানের জামিন বাতিল করা হবে না এর সময় বাড়ানো হবে তা পরবর্তী শুনানিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আপাতত ইমরানকে ১৫ দিনের সুরক্ষামূলক জামিন দেওয়া হয়েছে এবং ৯ মে-র পরে দায়ের করা কোনো মামলায় বুধবার (১৭ মে) পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার না করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত, জানিয়েছে জিও নিউজ।