নিজস্ব প্রতিবেদক »
নগরীর জামালখানে নালায় পাওয়া গেল নিখোঁজ শিশু মারজানা হক বর্ষার (৭) বস্তাবন্দি মরদেহ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিকদার হোটেলের পেছনের নালা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বর্ষা নগরীর কুসুমকুমারি স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
শিশুটি তার সৎপিতার চাকরির সুবাধে নগরের জামালখানের একটি ভাড়াবাসায় থাকত। তাদের বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বলে জানা গেছে।
শিশুটির সৎপিতা মো. ইউসুফ বলেন, ‘গত ২৪ অক্টোবর বিকাল আনুমানিক ৫টা নাগাদ সে বাসা থেকে বের হয়। আমরা মনে করেছি পূজা উপলক্ষে সেখানে অনুষ্ঠান দেখতে গেছে। পরে বাসায় না ফিরলে চারদিকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। সিসিটিভিতে দেখা যায়, বাসা থেকে বের হয়েছে কিন্তু ঢুকতে দেখিনি। পরে থানায় জিডি করি। নিখোঁজের চারদিন পর আজ (বৃহস্পতিবার) আমার শালা লিটন বিল্ডিংয়ের উপর থেকে একটি বস্তা দেখতে পায়, পরে নিচে নেমে এসে দেখে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশ।’
ঘটনায় কাউকে সন্দেহ করা হচ্ছে কি-না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কারো সাথে আমাদের শত্রুতা নেই। এখন কাকে সন্দেহ করবো’।
শিশুটির মামা আলী হোসেন বলেন, ‘আমাদের তেমন কোন শত্রু নেই, তবে একটি ছেলেকে সন্দেহ, সুজন নামের একটি ছেলেকে আমরা এলাকাছাড়া করেছিলাম।’
শিশুটির সৎবোন সালেহা আক্তার বলেন, সাত বছরের আমার বোন ৪দিন ধরে নিখোঁজ ছিল। আমাদের কোনো শত্রু ছিল না। আমরা কাউকে সন্দেহ করিনি। থানায় জিডি করেছিলাম। সবাই পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরি করতাম। আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা খুনিদের ফাঁসি চাই।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নগরের জামাল খানের সিকদার হোটেলের পেছনের নালা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। স্থানীয়রা বস্তাটিতে মরদেহ সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহটি নালা থেকে তুলে আনে। তবে বস্তাবন্দি মরদেহটি তখনো খোলা হয়নি। ঘটনাস্থলে কাজ করছিলো সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট। এর আগে গত ২৪ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে বাসা থেকে দোকানে যাওয়ার জন্য বের হয়ে আর ফিরে আসেনি বর্ষা। নিখোঁজের ঘটনায় তার বোন কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়রি করেন।
কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আমরা উদ্ধার করেছি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় কাউকে এখনো আটক করা হয়নি।