নিজস্ব প্রতিবেদক »
ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ লঘুচাপ হিসেবে পরিণত হয়ে বৃষ্টি ঝরাচ্ছে সারাদেশে। বর্ষার মতো দিনভর টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত নগর জীবন। আর এই বৃষ্টি যেনো শীতের তীব্রতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত থাকতে পারে বর্ষণ। সন্ধ্যার পর তা বাড়তে পারে। সাগরে বায়ুচাপের তারতম্য অব্যাহত রয়েছে বলে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোর জন্য তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৮১ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে যশোরে ১৬৩ মিলিমিটার। এছাড়া কুমিল্লায় ১০৩, ঢাকায় ১৩২, ফরিদপুরে ১৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
বৃষ্টি আরো হবে কিনা জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তর পতেঙ্গা কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ শেখ হারুনুর রশিদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে মেঘের পরিমাণ খুব বেশি ছিল। এই মেঘের কারণে লঘুচাপে পরিণত হওয়ার পর বৃষ্টি হচ্ছে। দিনভর ভারী বর্ষণ হয়েছে এবং মঙ্গলবারও তা অব্যাহত থাকবে। তবে দিনভর থেমে থেমে বর্ষণ হলেও সন্ধ্যার পর থেকে টানা বৃষ্টি হতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবারের পর থেকে আর বৃষ্টির সম্ভাবনা তেমন নেই। তবে বৃষ্টি শেষেই বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা।
এদিকে সকাল থেকে টানা বর্ষণ হওয়ায় এইচএসসি পরীক্ষাগামী শিক্ষার্থীরা দিনের শুরুতে দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। এতে রাস্তায় বের হওয়া মানুষদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, বছরের এসময়ে সাগরে এক বা একাধিক লঘুচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়ে থাকে। এসব নিম্নচাপের কোনটি আবার ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। আন্দামান সাগরের কাছে সৃষ্ট লঘুচাপটি থেকে ‘জাওয়াদ’ নামে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়ে সাগরে দুইদিন অবস্থান করে। পরবর্তীতে রোববার তা নিম্নচাপে পরিণত হয় এবং সোমবার লঘুচাপ হিসেবে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি ঝরায়।