জনপ্রিয়তা বাড়ছে বালি আর্কেডের

মিলছে সুলভমূল্যে খাবার

নিজস্ব প্রতিবেদক »

কিছু বছর আগেও মানসম্মত খাবার খেতে, কেনাকাটার জন্য সানমার ও ফিনলে স্কয়ারে ছুটতো নগরীর মানুষ। এবার তার সাথে যোগ হয়েছে বালি আর্কেডের নাম।

এটি নগরীর চকবাজারে সিরাজউদ্দৌলা রোডে অবস্থিত। ১৪ তলা মলটিতে রয়েছে চারটি প্যাসেন্জার লিফট, দুটি কার্গো লিফট, তিনটি সিনেপ্লেক্স, ফুড কোর্ট, মোবাইল এক্সেসরিজ, কসমেটিক জোন, জেন্টস ব্র্যান্ডশপ, লাইফস্টাইলসহ সর্বমোট ২৬০টি স্টল। তবে বাড়তি নজর কাড়ছে ফুড কোর্ট। এটির দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে। শিক্ষার্থী, তরুণ-তরুণী, প্রবীণদের আড্ডার সুন্দর জায়গা হয়ে উঠছে।

চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় মাল্টিকুজিন ফুটকোর্ট এটি। প্রায় ১৭ হাজার বর্গফুটের জায়গায় ১৯টি খাবারের স্টল রয়েছে। দিল্লি দরবার, আমেরিকান বার্গার, পাপা চিনোস, পরমসা কিউ কিউসহ রয়েছে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের শাখা। এক স্টলের খাবার নিয়ে অন্য স্টলের জায়গায় বসে খাওয়ার সুযোগও দিচ্ছে কোর্টটি। ফ্রি ওয়াই-ফাই, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, প্রশিক্ষিত কর্মী নিয়ে ফুটকোর্টটি পরিচালনা হয় বলে জানালেন ফুটকোর্টের অপারেশন ম্যানেজার মেহেদি হাসান।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজ, মেডিক্যালের ছাত্ররা আসে। যারা অধিকাংশই আয় করে না। তাদের সুবিধার্থে সুলভমূল্যে খাবারের সুবিধা রেখেছি। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আনাগোনা থাকে। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে পরিবার পরিজন নিয়ে খেতে আসেন বয়োজ্যেষ্ঠরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি খাবারের জন্য আলাদা আলাদা স্টল। এক স্টলের খাবার নিয়ে বাকি সব স্টলে বসে খেতে পারছেন কাস্টমাররা। ফুচকা ওয়ালা অ্যান্ড জুসবারে ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩০ টাকায় মিলছে নানা ধরনের ফুচকা। স্পাইসি ল্যান্ডে ১৮০ টাকা থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে ফ্রাইড রাইস পাওয়া যাচ্ছে। আমেরিকান বার্গার স্টলে ২৩০ টাকা থেকে ৩৮০ টাকার মধ্যে মিলছে হরেক রকম বার্গার। ক্রাশ ক্যাফেতে রয়েছে মমর মজাদার স্বাদ। ১৮০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব খাবার। ১০০ থেকে ২৫০ টাকায় আইসক্রিম পাওয়া যাচ্ছে আইস্ক্রিম পার্লারে। গ্রিল মাস্টারে ২৫ টাকা থেকে ৫৬০ টাকায় মিলছে নানা রকম পদের খাবার।

খেতে আসা ইসলামিয়া কলেজের শিক্ষার্থী নিহারীকা বলেন, এখানে সবকিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। কম টাকয় ভালো মানের খাবার খেতে পারছি। তবে পানীয় জিনিসের দাম বাড়তি।

পরিবার নিয়ে আসা মমিনুল হক বলেন, সুন্দর পরিবেশ, কর্মীদের ব্যবহার ভালো, খোলামেলা জায়গা, সবকিছুই ভালো। অফিস কাছে থাকায় প্রায় সময় এখানে আসা হয়। তবে ক্লাস চলাকালে অনেক শিক্ষার্থীকে এখানে গল্প গুজব করতে লক্ষ্য করেছি। এতে করে তাদের পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে। ক্লাসের সময় শিক্ষার্থীদের প্রবেশ সীমিত করা উচিৎ। আশা করি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২ এপ্রিল চকবাজারের সিরাজউদ্দৌলা সড়কে ১৪ তলা