নিজস্ব প্রতিবেদক >
করোনা পরবর্তী জটিলতায় শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ এ গোলাম মর্তুজা হারুন মৃত্যুবরণ করেছেন। (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজেউন)। শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে সিএসসিআর হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ডা. গোলাম মর্তুজা হারুন ওই হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শনিবার বাদ আসর জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির জেনারেল ম্যানেজার পুলক পাড়িয়াল জানান, গত ১২ মে ডা. গোলাম মর্তুজা হারুনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। এরপর ২২ মে তিনি সুস্থ হন। কিন্তু ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়লে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি দক্ষ সংগঠক ও উদ্যোক্তা ছিলেন। ১৯৮৪ সালে চট্টগ্রামে প্রথম বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার শেভরন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ভালো ক্রিকেটারও ছিলেন, এর সুবাদে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
ডা. গোলাম মর্তুজা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০০৩-২০০৯ সাল পর্যন্ত বিএমএ চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি, ১৯৮৭-২০১৭ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রাইভেট হসপিটাল মালিক সমিতির সভাপতি, ২০০০-২০০৩ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি এবং নগর বিএনপির উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া তিনি ১৯৮৪ সালে চট্টগ্রাম চেম্বার ও ২০০৬ সালে রিহাবের নেতৃত্ব দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।
শ্রদ্ধা জানাতে নিজের প্রতিষ্ঠিত শেভরন প্রাঙ্গণে তার মরদেহ নিয়ে আসা হলে সেখানে চিকিৎসকসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি এবং শেভরন পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এই চিকিৎসকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বিএমএ, ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিজ (এফডিএসআর), ড্যাব, শেভরন পরিবারসহ চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন। শোক প্রকাশ করেছেন সাবেক সিটি মেয়র ও সিজেকেএস এর সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। পৃথক বিবৃতিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।