নিজস্ব প্রতিবেদক :
চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে এই মাসে একাধিক নি¤œচাপ সৃষ্টি হতে পারে, এসব নি¤œচাপের মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, চলতি মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে থাকবে। অর্থাৎ শীতের প্রভাব শুরু হয়ে যাবে। এছাড়া নদী অববাহিকায় ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে ভারী কুয়াশাও পড়তে পারে। অপরদিকে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি হতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগে চলতি মাসে স্বাভাবিকভাবে ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা থাকলেও তা বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ মিলিমিটার, ময়মনসিংহে ১৯ মিলিমিটার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২৫ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ৬৩ মিলিমিটার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৮০ মিলিমিটার, সিলেটে ৩৫ মিলিমিটার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ মিলিমিটার, রাজশাহীতে ১৫ মিলিমিটার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০ মিলিমিটার, রংপুওে ১০ মিলিমিটার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ মিলিমিটার, খুলনায় ৩১ মিলিমিটার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ মিলিমিটার এবং বরিশালে ৫৯ মিলিমিটার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে এখন একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এই লঘুচাপের কারণে আকাশে প্রচুর মেঘ রয়েছে এবং দেশের উপকূলীয় এলাকায় হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আর এই মেঘ কেটে গেলেই শীতের প্রভাব শুরু হবে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে বর্ষার শেষে ও শীতের শুরুতে সাধারণত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়ে থাকে। এছাড়া গ্রীস্মের শেষে এবং বর্ষার আগেও ঘূর্ণিঝড় হয়ে থাকে। এই দুই সময় ছাড়া বছরের অন্যান্য সময়ে মৌসুমী ঘূর্ণিঝড় হলেও তা তেমন শক্তিশালী হয় না।
এ মুহূর্তের সংবাদ