সংবাদদাতা, চন্দনাইশ :
আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি চন্দনাইশ পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল প্রচার-প্রচারণার শেষ দিনে পৃথক সহিংসতায় মেয়র প্রার্থীর মা’সহ ১১ জন আহত হয়। আহতদেরকে চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
গতকাল সকালে গণসংযোগকালে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী অজয় দত্ত ও সুজন সরকারের সমর্থকদের মধ্যে জোয়ারা হিন্দুপাড়া এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে হাজির পাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মানিক (২৬), জোয়ারা এলাকার অঞ্জন চৌধুরীর ছেলে দীপ চৌধুরী, সৌরভ দাশের স্ত্রী তমা দাশ (২৪), সুধীর ঘোষের ছেলে ইমন ঘোষ (২০), মৃত হরিশ চন্দ্র দত্ত’র ছেলে মিন্টু দত্ত (৭০), রুপন দত্তের স্ত্রী সুপর্ণা দত্ত(৩০), নয়ন সর্দার (৩০) আহত হয়। এদিকে সন্ধ্যায় একদল দুর্বৃত্ত মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী ফারুক বাহাদুরের ঘরে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় তার ঘরের জানালার কাঁচ ভে১ে তার মা ফাতেমা বেগম (৬০)’র মাথায় লেগে গুরুতর আহত হয় ও পরিবারের অন্য সদস্যরা আহত হয়। অন্যদিকে চন্দনাইশ সদর এলাকায় সন্ধ্যায় একই দলের ২ গ্রুপের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় চৌধুরী পাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মিজানুল হক চৌধুরী (২৩), চন্দনাইশ সদরে ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে ইয়াছিনুুর রহমান (১৮), মকবুল হোসেনের ছেলে রাজমিস্ত্রি মো. ফরিদ (৩০) আহত হয়। আহতদেরকে চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। সন্ধ্যার পর থেকে হঠাৎ করে নির্বাচনী এলাকার কিছু কিছু অংশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ এ সকল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী ফারুক বাহাদুর সাংবাদিকদের বলেছেন, একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা তাদের দলীয় স্লোগান দিয়ে তার বাড়িতে ইচ্ছাকৃতভাবে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ঘরের দরজা-জানালার কাচ ভাঙচুর করে ক্ষতি সাধন করে। এদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহাবুবুল আলম খোকা সাংবাদিকদের বলেছেন, যারা প্রার্থী ফারুক বাহাদুরের ঘরে হামলা করেছে তারা কেউ তার দলের সদস্য বা সমর্থক নয়। তার সুনিশ্চিত জয়কে অন্যভাবে প্রভাবিত করতে একটি মহল এধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেষ্টা করছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
এ মুহূর্তের সংবাদ