নিজস্ব প্রতিবেদক »
চন্দনাইশে হাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় শোক সভার আলোচনার শেষ পর্যায়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় দু-গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিও হয়।
এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রহিম, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর লোকমান হাকিম, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমিন, ছাত্রলীগ নেতা বিজয় বডুয়াসহ ৫ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা অতর্কিত এ হামলা চালায়। সভাস্থলের বাইরে ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে এবং ভাংচুর চালায়। হাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।
এ ঘটনার রেশ ধরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রায় আধঘণ্টার মতো চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দোহাজারী দেওয়ানহাট, বাগিচাহাটে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত খাদ্য সহায়তা বিতরণ থেকে ফেরার পথে হাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানের সভাপতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম বাবুলের বক্তব্য চলাকালীন সময়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হৈচৈ, গোলাগুলি আর ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাসির উদ্দিন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সন্ধ্যার পর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের একটি ঘটনা ঘটেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এর আগে গত ২৫ জুন ঘোষিত উপজেলা, পৌরসভা, কলেজ ছাত্রলীগের কমিটিতে ইয়াবা ব্যবসায়ী, প্রবাসী অছাত্র-বয়োজোষ্ঠদের রাখার দাবি করে কমিটি বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে পদবঞ্চিতরা। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান, ওসি নাসির উদ্দীন সরকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষুব্ধদের শান্ত করে সড়ক থেকে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও পরদিন একই দাবিতে গাছবাড়িয়া পুরাতন কলেজ গেট এলাকায় বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা।