নিজস্ব প্রতিবেদক »
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময় তিনটি বিষয়ে পরিবর্তন আসবে। সেগুলো হলো ফিজিক্যাল, ডিজিটাল এবং বায়োলজিক্যাল। ফিজিক্যাল ট্রেন্ড সহজেই দৃশ্যমান হবে। যেখানে অটোনমোস, থ্রি-ডি প্রিন্টিং, এডভান্স রোবট এবং বিভিন্ন মেটারিয়াল থাকবে। অর্থাৎ মানুষ এবং রোবটের দ্বৈত কাজে চালু হবে ‘কোবট’ সংস্কৃতি।
গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম গবেষণাগার কার্যালয়ের হালদা সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য মো. জাফর আলম এসব কথা বলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক একটি সেমিনারে উপস্থাপিত প্রবন্ধে তিনি এসব বিষয় উল্লেখ করেন।
কোবট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকক্ষেত্রে রোবট মানুষের ভূমিকাকে রিপ্লেস করবে। ওষুধ চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করা যাবে। ডাক্তারের ভূমিকাও রিপ্লেস হবে, থ্রি-ডি বাড়ি তৈরি হবে, যার ১০০টি ইতোমধ্যে আমেরিকা তৈরি করেছে। ব্যবহৃত মেটারিয়ালগুলো হবে হালকা, শক্তিশালী, পুনর্ব্যবহারযোগ্য, অভিযোজন ক্ষমতা সম্পন্ন, চটপটে ও নবপ্রবর্তিত।
ডিজিটাল ট্রেন্ড সর্ম্পকে জানানো হয়, এ ট্রেন্ডে থাকবে ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লকচেইন, ৪ ভিআর অর্থাৎ ৪ রকমের রিয়েলিটি ও ক্লাইড কম্পিউটিং।
তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সংজ্ঞায় বলেন, ‘এ বিপ্লব হলো বর্তমান এবং উন্নয়নশীল পরিবেশ যেখানে ডিজরাপ্টেড প্রযুক্তি ও প্রবণতা যেমন ইন্টারনেট অব থিংস, রোবোটিক্স, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জীবনযাপন ও কাজ করার পদ্ধতিকে পরির্বতন করছে।’
তিনি জানান, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে এগুলেও বৈশ্বিক জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ এখনও ২য় শিল্প বিপ্লবে অবস্থান করছে। এমনকি ১ শ’ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ এখনও বিদ্যুতের সুবিধাই পায়নি।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ হিসেবে তিনি বলেন, এ বিপ্লবে স্বল্প দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকের কর্ম সংকুচিত হবে, নতুন প্রযুক্তির জন্য কর্মের যে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে তার জন্য নতুন শিক্ষা ও দক্ষতার প্রয়োজন হবে এবং সেই সাথে নতুনভাবে বড় বিনিয়োগেরও প্রয়োজন পড়বে।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ‘যার হাতে যত তথ্য সে তত বেশি ক্ষমতাবান হবে।’ বায়োলজিক্যাল ট্রেন্ড সম্পর্কে জানান, যথেচ্ছ উৎপাদন নয়, যথাযথ উৎপাদন নিশ্চিত হবে। ড্রোন টেকনোলজির ব্যবহার বাড়বে বিভিন্ন বড়ো প্রকল্প ও দুর্ঘটনার মতো বিষয়গুলো তদারকি ও মোকাবিলায়।
এ বিপ্লবে অনেককিছুর ব্যয় কমে আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এতে উৎপাদনশীলতা বাড়বে, খরচ কমে যাবে। অনেককিছুর ব্যয় কমে আসবে। আমাদের দেশে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরির্বতন আসবে। যাকে রিলায়েবল এনার্জি বলে। পৃথিবীতে অনেক কাজ হচ্ছে সে কাজগুলো আমরা গ্রহণ করবো।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস বলেন, ‘আগে আমরা যেই বিষয়গুলো অফিসে বসে আলোচনা করতাম সে বিষয়গুলো এখন বাস্তবায়ন হচ্ছে। এখন আইপি ক্যামেরা বসানোর চিন্তা করা হচ্ছে। ফলে এখন আমার হেড অফিস দেখবে, আমার সরকার দেখবে কোন জায়গায় কি হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মফিদুল আলম বলেন, ‘এ কনসেপ্ট নতুন, এটা আমাদেরকে অ্যাডপ্ট করতেই হবে। পৃথিবীর অন্য সব দেশের সাথে সমান তালে আমরা যদি চলতে উদ্যোগী না হই তাহলে পিছিয়ে পড়বো। আমাদের সকলেরই একযোগে এক চিন্তায় কাজ করে যেতে হবে।’