নিজস্ব প্রতিবেদক »
বাজারের অধিকাংশ পণ্যের দাম চড়া। ক্রেতাদের অভিযোগ, নিত্যপণ্য নিয়ে প্রতিদিন সরকারের দায়িত্বশীলদের মুখে বাজার নিয়ন্ত্রণে নানা প্রতিশ্রুতির কথা বললেও বাস্তবে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে আদা, রসুন, পেঁয়াজের দাম বেশ চড়া। কমেনি ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম। স্থিতিতে রয়েছে সবজি ও মাছের বাজার। প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যসব পণ্যের দাম।
গত সপ্তাহে বাজারে আদা, রসুন ও পেয়াঁজের কিছুটা কমতির দিকে থাকলেও গতকাল বাজারে বেশ চড়া। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। তাছাড়া আদা বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা দরে । এদিকে ডাবল সেঞ্চুরি পার করেছে আমদানির রসুন। বাজারে আমদানি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২১৫ টাকা কেজিতে।
এদিকে অস্থির হওয়া ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের বাজার সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কমতির দিকে নেই। বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১৬৫ টাকা থেকে ১৭০ টাকা । যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৫০ টাকা থেকে ১৫৫ টাকা। সোনালি মুরগির দাম কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৩১০ টাকা থেকে ৩২০ টাকা।
এদিকে বাজার তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোর একাধিক অভিযানেও ডিমের দামের লাগাম টানতে পারছে না প্রশাসন। বাজারে লেয়ার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজনপ্রতি ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায় যা গত দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৩৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকা। তাছাড়া বাজারে খাসির মাংস কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা। যা আগে বিক্রি হতো ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা।
অন্যদিকে গত দুই সপ্তাহ ধরে জলাবদ্ধতা ও পরিবহন সংকটের দোহাই দিয়ে বেড়ে যাওয়া সবজির বাজার এখন স্থিতিতে রয়েছে। ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি মিলছে না। তাছাড়া কাঁচামরিচ ও টমেটোর বাজারের অস্থিরতা এখনো কাটেনি।
বাজারে টমেটো বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ২৬০ টাকা ও কাঁচামরিচ ২২০ টাকা কেজিতে। বিভিন্ন বাজারে বরবটি বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬৫-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫৫-৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০-৯০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, কচুরলতি ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, আলু ৪০ টাকা, কচুমুখি ৫০ টাকা, গাজর ১৫০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা। এদিকে মাছের বাজারে যোগান পর্যাপ্ত থাকার পরও কিন্তু সেভাবে দাম কমেনি।
স্থানভেদে রুই, কাতলা, মৃগেল মাছ বিক্রি হয়েছে কেজিতে ২৪০ টাকা থেকে ২৮০ টাকায়। পাঙাশ ১৫০-১৬০, তেলাপিয়া ১৫০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।