টেলিভিশনের মাল্টিপারপাস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে তথ্যমন্ত্রী
‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। তিনি ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয় লাভ করার পর চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্র উন্নয়নের জন্য অনেকগুলো প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন। সে ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্র ২৪ ঘণ্টা সম্প্রচার করছে এবং টেরেস্টিরিয়াল সম্প্রচারের কারণে দেশের ৭০ ভাগের বেশি এলাকায় বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সম্প্রচার দেখা যায় এবং শতভাগ এলাকায় ক্যাবল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দেখা যায়। এছাড়াও অ্যাপসের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিভিশন কেন্দ্রের সম্প্রচার সমগ্র পৃথিবীতে দেখা যায়।’
গতকাল বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মাল্টিপারপাস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, দোয়া ও মোনাজাত শেষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম কেন্দ্র স্বল্পাকারে সম্প্রচারের সুযোগ সুবিধা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। এ স্বল্প সুবিধা নিয়ে ২৪ ঘণ্টা সম্প্রচার করা কঠিন। তাই চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্র যাতে পূর্ণাঙ্গভাবে সম্প্রচার করতে পারে সে কথা মাথায় রেখে এ বহুমুখী প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী দেশের আরো ছয়টি (৬) বিভাগে বাংলাদেশ টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন। আশা করছি প্রকল্পগুলোর কাজও খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের চট্টগ্রাম কেন্দ্রকে পূর্ণাঙ্গ টিভি কেন্দ্রে রূপান্তর (১ম পর্যায়) প্রকল্পটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ কেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়ন ও জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ২৪/৭ প্রচার এর মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। চট্টগ্রামের স্বতন্ত্র সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনা প্রচারের পাশাপাশি প্রধান বন্দরনগরীর ব্যবসায়িক সুযোগসমূহ নিয়ে আলোকপাত করা সম্ভব হবে।
ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, বিটিভির মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, বিটিভির জিএম মাহফুজা আক্তার, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ সাংবাদিকবৃন্দ, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র, বেতার ও পিআইডির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে চট্টগ্রাম মাহনগরীর উদ্ধারকৃত ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি ভূমিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় নগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডস্থ, ১ নম্বর ঝিল পাড় এলাকায় পাহাড় সংরক্ষণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে একটি চারা রোপণ করেন। বিজ্ঞপ্তি