সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রামে দল-মত ও শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সবাই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। বন্দর নগরীতে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে। এখানে সকাল ৮টায় প্রধান ঈদ জামাত হয়। দ্বিতীয় ঈদ জামাত হয় সকাল সাড়ে ৮টায়।
এর আগে ফজরের নামাজের পর থেকেই নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা সমবেত হতে থাকেন জমিয়তুল ফালাহয়।
এখানে প্রধান ঈদ জামাতে ইমামতি করেন জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদের খতিব সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী।
ঈদের নামাজ শেষে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রার্থনার পাশাপাশি যুদ্ধ বিধস্ত ফিলিস্তিনের জন্য দোয়া করা হয়। খবর বিডিনিউজের।
এখানে ঈদের নামাজ পড়েন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, সাবেক সিটি মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা।
ঈদের নামাজ শেষে নেতারা একে অন্যের সাথে কোলাকুলি করেন ও পরষ্পরের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
নামাজ শেষে সমবেতদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই বাংলাদেশে আবারো নতুন সরকার গঠিত হয়েছে এ বছর থেকে। এই সরকার যুব সমাজের সুশিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে। এটা আমাদের লক্ষ্য।
“এই লক্ষ্যে যাতে আমরা পৌঁছাতে পারি সেজন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছি। বাংলাদেশ ভবিষ্যতে একটি সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে, সেটা হচ্ছে এবার মহান আল্লাহপাক রাব্বুল আলআমিনের কাছে এবার আমাদের বিশেষ প্রার্থনা।”
চট্টগ্রামে ঈদের সকাল ছিল রোদ ঝলমলে। নামাজ পড়তে সকাল সকাল মসজিদ ময়দানে হাজির হন মুসল্লিরা। কাতারে কাতারে দাঁড়ান। ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য বজায় রেখে আদায় করেন ঈদুল ফিতরের নামাজ।
মসজিদ প্রাঙ্গনের তিনটি গেইটের প্রতিটির সামনে ছিল মানুষের লম্বা লাইন। তাদের কেউ এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে। আবার কেউ এসেছেন পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যদের নিয়ে।
মসজিদের মাঠ কানায় কানায় ভরে ওঠার পর অনেকে পাশের সড়কে দাঁড়িয়ে যান নামাজে অংশ নিতে।