সারাদেশে একদিনে শনাক্ত ৫৬৯ জন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ হাজার পার হলো চট্টগ্রামে। একইসাথে গত শনিবার নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫ জন। ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, শেভরন, আরটিআরএল, মা ও শিশু হাসপাতাল এবং কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ১৪৭০ নমুনার মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ৬৫ জনের। এতে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ হাজার ৮৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছে একজন । এর আগে গত ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়েছিল এক বৃদ্ধ।
সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ৯৮৪ নমুনার মধ্যে ১২ জন করোনা পজিটিভ হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ২৭১ জনে ২০ জন, শেভরনে ১৬৫ নমুনায় ১৫ জন, আরটিআরএলে ১৩ নমুনায় ৭ জন এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২৫ নমুনায় ১১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ১২ নমুনায় কারো পজিটিভ পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে করোনা আক্রান্ত ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। একসময় তা শতকের নিচে থাকলেও তা ধীরে ধীরে বেড়ে এখন ২০০ এর বেশি নিয়মিত হয়ে গেছে। কখনো কখনো তা ৩০০তে গিয়েও পৌঁছে।
এদিকে দেশে গত এক দিনে আরও ৫৬৯ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা গত সাড়ে আট মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।
গতকাল রোববার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে শনাক্ত ৫৬৯ জনকে নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৬৩২ জন হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে আরও ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে গত এক দিনে, তাতে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে মোট ৭ হাজার ৯০৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬৮১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৭২ হাজার ৪৩৭ জন হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৫টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৫৬টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৯৯টি ল্যাবে ১৩ হাজার ৪৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫৩টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৯টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৭৮৪টি।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ আর নারী ৭ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ১৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১৬ জন ঢাকা বিভাগের, ১ জন করে মোট ৫ জন চট্টগাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও রংপুর বিভাগের এবং ২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ৯০৬ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৯৯২ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৯১৪ জন নারী।