নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামে নতুন করে আক্রান্ত হলো ১৪০ জন। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ৫৯৬টি নমুনার মধ্যে ১৪০টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৮১টি নমুনার মধ্যে ৭৮টি পজিটিভ হওয়ায় তা গ্রহণ করা হয়নি, এটাকে প্রশ্নবোধক মনে হয়েছে সিভিল সার্জন দপ্তরের কাছে। তাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। এদিকে নতুন করে ১৪০ জন শনাক্ত হওয়ায় চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩,৮০৯ জন, এদের মধ্যে সুস’ হয়ে বাড়ি গেছে ২৪৮ জন এবং মারা গিয়েছে ৯১ জন।
সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৭৯টি নমুনার মধ্যে ৪০টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৫৫টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ হয়েছে ৫০ জনের, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬২টি নমুনার মধ্যে ৫৩ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন দপ্তর জানায়, ৮১টি নমুনার মধ্যে ৭৮ টি পজিটিভ প্রশ্নবোধক মনে হচ্ছে। তাই এখনই এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হচ্ছে না, রিভিও করা হবে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার নতুন করে ১৪০ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৩,৮০৯ জন। এর আগে ৪ জুন ১৩২ জন, ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন, ২১ মে ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।