চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে বলে জানান চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। গতকাল বুধবার চসিক সিটি লেভেল কো-অর্ডিনেশন কমিটি (সিএলসিসি)’র প্রথম সভায় মেয়র উন্নয়ন সংস্থা জাইকা এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংস্থা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন।
মেয়র বলেন, জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনা না করে কোন প্রকল্প গ্রহণ করলে সে প্রকল্প কখনো ফলপ্রসূ হয় না। এজন্য দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই চট্টগ্রামের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জনগণের মতামত যাচাইকে গুরুত্ব দিচ্ছি। বিভিন্ন জরিপ, গবেষণা, বিশেষজ্ঞ মতামত, আধুনিক রাষ্ট্রসমূহের পদ্ধতি ইত্যাদিকে অনুসরণ করছি। উন্নয়ন পরিকল্পনাকে সফল করতে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে চাচ্ছি কারণ যাদের জন্য উন্নয়ন তারা সম্পৃক্ত হলেই কেবল উন্নয়ন সফল এবং টেকসই হবে।
সভায় চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ বলেন, কেবল বস্তুগত উন্নয়ন নয়, উন্নয়নে মানবিক দিকগুলোকেও প্রাধান্য দিচ্ছে চসিক। বাংলাদেশে সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে শিক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করে চসিক, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম উন্নয়ন কার্যক্রমের সবচেয়ে বড় সুফলভোগী হয়। আমরা স্বাস্থ্য কার্যক্রমেরও প্রসার ঘটাচ্ছি। আমাদের প্রত্যাশা আগামী প্রজন্ম সুশিক্ষিত, সুস্বাস্থ্যবান।
সভায় জাইকার প্রকল্পের চিফ অ্যাডভাইজার নাওকো আনজাই জাপানের উন্নয়ন পদ্ধতির অভিজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, জাপানের উন্নয়নের আলোকে বলতে পারি চসিক ইন্টারনেটনির্ভর বিভিন্ন সেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে পারে। উন্নয়ন হোক জনগণের জন্য, জনগণকে সাথে নিয়ে এবং জনগণের মাধ্যমে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, অধ্যাপক মো. ইসমাইল, নাজমুল হক ডিউক, আবদুল মান্নান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, এডিসি (শিক্ষা) মো. আবদুল মালেক, প্রধান হিসাব কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, আইটি অফিসার মো. ইকবাল হাসান, জাইকার চিফ অ্যাডভাইজার নাওকো আনজাই, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাভাপতি তপন চক্রবর্তী ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক। বিজ্ঞপ্তি