নিজস্ব প্রতিবেদক »
চৈত্রের এ সময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে নগরজুড়ে বইছে ঠান্ডা বাতাস। অসময়ের এ বৃষ্টি দুর্ভোগ বাড়িয়েছে নগরবাসীর। রাস্তায় গাড়ি কম থাকায় অফিসগামীদের পোহাতে হয়েছে ভোগান্তি।
দেওয়ানহাট এলাকার এক পথচারী বলেন, ‘আমার বাসা চৌমুহনীতে। কাজ করি টাইগারপাসে। আমাকে এ রাস্তা দিয়েই যেতে হয়। যাওয়া-আসায় যে পরিমাণ বালি নাকে-মুখে ঢুকে, তা বলার মতো না। তবে অসময়ের এ বৃষ্টিতে সাময়িক দুর্ভোগ হলেও ধুলো ওড়া বন্ধ হয়ে গেছে। এটা আমাদের কাছে আর্শীবাদ।’
কোতোয়ালী মোড়ের এক রিকশাচালক বলেন, ‘বৃষ্টিতে এখন আর কিছু ভালো লাগছে না। এখন বাজারের যে অবস্থা একদিনও বসে থাকার অবস্থা নেই। তাই মন না চাইলেও রিকশা নিয়ে বের হতে হয়। গত কয়েকদিন গরম পড়ছিলো। কিন্তু এ গরমে তেমন অসুবিধা ছিল না। তবে এ ধরনের বৃষ্টিতে রিকশা চালানো খুব কষ্ট।’
বৃষ্টি প্রসঙ্গে পতেঙ্গা আবহওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা উজ্জ্বল কান্তি পাল বলেন, ‘১৯ মার্চ সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এটি ২২ মার্চ পর্যন্ত পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটা লঘুচাপ অবস্থান করছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার এবং আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। এটা স্বাভাবিক একটি লঘুচাপ।
এ সময় শিশু-বৃদ্ধদের সাবধানে থাকার পরমর্শ দিয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. অনুপম বড়–য়া। তিনি বলেন, ‘ওয়েদার চেঞ্জ হওয়ার সময়ে ঠান্ডাজনিত রোগ হয়। এসব রোগ নিয়ে ভয় বা আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। এ ধরনের রোগের কারণে সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে সাত দিন ভুগতে হয়। ভোগাটাই কষ্টকর। বিশেষ করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠদের একটু সাবধানে থাকতে হবে।’