বাণিজ্যিক অকৃষি আগ্রাসন থেকে দেশের কৃষি জমি রক্ষা করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ অভিমত প্রকাশ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, প্রতি বছর জনসংখ্যা বৃদ্ধি, ব্যবসায়িক স্থাপনা, নগরায়ণ, কারখানা প্রতিষ্ঠা, আবাসিক প্রকল্প তৈরিসহ উন্নয়ন কর্মকা-ের নামে কৃষিজমি উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাচ্ছে। মনে রাখতে হবে কৃষিই হচ্ছে আমাদের প্রাণ।
জলবায়ু পরিবর্তন, বিরূপ আবহাওয়া, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, বন্যা, খরা, প্রাকৃতিক সব বাঁধা পেরিয়ে কৃষিই বাংলাদেশের অন্যতম চালিকাশক্তি। বিশ্বকে তাক লাগিয়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। তাই যে কোন মূল্যে কৃষিজমিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
আবাসন, ইটের ভাটা, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, নগরায়নের নামে কৃষি জমিকে গ্রাস করা হচ্ছে।
ক্রমবর্ধমান এসব ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা উন্নয়নের বিরুদ্ধে নই, পরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়নের পক্ষে এবং তা হবে হবে অবশ্যই উর্বর কৃষি জমিকে রক্ষার মাধ্যমে।
ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন কৃষি জমিকে কোন অবস্থাতেই বাণিজ্যিক কিংবা শিল্পায়ন খাতে রূপান্তরিত করা যাবে না।
তাই কৃষি জমি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। এখন থেকেই আমাদের কৃষিজমিকে রক্ষার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে কৃষি মন্ত্রণালয়কেই সবচেয়ে বেশি উদ্যোগী হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলার প্রাকৃতিক শস্য ভা-ার খ্যাত সীতাকু-, মিরসরাই, পটিয়া, আনোয়ারা, বাঁশখালী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়ার বিশাল কৃষি জমি ক্রমান্বয়ে বাণিজ্যিকরণের নামে গ্রাস করে ফেলা হচ্ছে। এতে করে ঐসব এলাকার উৎপাদিত সুস্বাদু শাক সবজি থেকে বঞ্চিত হবে আমাদের আগামী প্রজন্ম এবং একসময় এসব কৃষি জমির কথা শুধু বই পুস্তকে সীমাবদ্ধ থাকবে। তিনি এসব এলাকার পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বিজ্ঞান ভিত্তিক কৃষি কার্যক্রম এবং মৌসুমী আবাদের মাধ্যমে শস্যভা-ারে পরিণত করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানান।
ইতিমধ্যে সীতাকু- মিরসরাই এলাকার অধিকাংশ কৃষি জমি বিভিন্ন শিল্প বাণিজ্য গ্রুপ কৃষকের কাছ থেকে চড়া দামে কিনে নিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে জোর করে কৃষি জমি দখল করার ঘটনাও ঘটছে। এতে করে ঐ এলাকার জনগনের মাঝে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ছে।
সুজন বলেন, কোন অবস্থাতেই কৃষি জমির জন্য সংরক্ষিত স্থানে কোন ধরণের বাণিজ্যিক কিংবা শিল্পস্থাপন করা যাবে না। প্রয়োজনে জাতীয় সংসদে আইন পাস করে কৃষি জমি রক্ষা করতে হবে।
এছাড়া কৃষিজমি রক্ষার্থে কৃষিজমিতে স্থাপনা করার ক্ষেত্রে সিডিএ থেকে নকশা অনুমোদনের পূর্বে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে যেন অনাপত্তি গ্রহণ করা হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করারও আহ্বান জানান তিনি। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর