সুপ্রভাত ডেস্ক :
২০১৪ সালে ‘হিরোপান্তি’ দিয়ে দুজনের শুরু হয়েছিল বলিউড যাত্রা। গতকাল (২২ মে) একযোগে তাই বলিউডে সৌভাগ্যের সাত পার করলেন টাইগার স্রফ ও কৃতি শ্যানন।
সাত পেরিয়ে দুজনই স্মরণ করলেন তাদের সাত বছরের পথচলার গল্প। টাইগারের জন্য বলা যায় মসৃণই ছিল। বাবার পরিচয় তো ছিলই, বাড়তি ছিল মার্শাল আর্ট আর বলিউডি নৃত্যকলা। অন্যদিকে দিল্লি থেকে মুম্বাইতে এসে বলিউডি স্বপ্নের পেছনে লেগে থাকাটা কৃতির জন্য চ্যালেঞ্জের ছিল বটে। টাইগারের মতো আলাদা করে ফ্যানবেইজই তৈরি হয়েছে। নাম তাদের টাইগারিয়ান। তাদের ওপর ভরসা রেখেই সাত বছর পর শুরু করেছেন ‘হিরোপান্তি-২’ এর কাজ। মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে এ বছরের ডিসেম্বরে। আরেকটা বড় ব্যাপার হলো ‘হিরোপান্তি’র সিকুয়েলের সংগীত পরিচালনা করছেন এ আর রহমান। গানের জোরে সিনেমা হিট হলেই টাইগার উঠে যাবেন নতুন স্তরে। অন্যদিকে সাধাসিধে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা কৃতি শ্যাননের মা হলেন অধ্যাপক, বাবা চার্টার্ড একাউন্টেন্ট। কৃতি নিজেও পড়েছেন প্রকৌশলবিদ্যায়। বলিউডে তারকাখ্যাতি পাওয়ার মতো মহিরুহটা চড়েছেন স্রেফ অভিনয় প্রতিভার গুণেই। অবশ্য অকুণ্ঠচিত্তে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সাজিদ নাদিদওয়ালা, আইয়ার তিওয়ারি ও আশুতোষ গোয়ারিকারদের মতো মারকুটে পরিচালকদের। ‘হিরোপান্তি’র জন্য অডিশনের চূড়া পার হওয়ার পর অবশ্য দ্রুত সুনাম বাগিয়েছেন ‘ব্যারেইলি কি বরফি’, ‘লুকাচুপি’ ও ‘পানিপথ’-এ অনবদ্য অভিনয়ের জোরে। সাত বছরে কী পরিবর্তন এসেছে নিজের মধ্যে? বম্বে টাইমসের এমন প্রশ্নে কৃতি হেসে বললেন, ‘আগে একদম গোঁয়ারগোবিন্দ ছিলাম, এখন অন্যের মতামতের প্রশ্নে অনেকটা খোলামেলা। বলতে গেলে আমার আগের জীবনটা ছিল সাদা-কালো। এখন আমার নিজেকে আবিষ্কারের পালা চলছে।’
অন্যদিকে টাইগারের হাতভর্তি এখন সিনেমার কাজ। ‘বাঘি’ সিরিজের একের পর এক সাফল্যে এখন ‘বাঘি-৪’-ও আসছে। সেই সঙ্গে পাইপলাইনে আছে ‘গণপথ’। তাতে থাকছেন প্রথম সিনেমার সঙ্গী কৃতি-ও।