নিজস্ব প্রতিবেদক :
শুক্রবারের পরীক্ষার পর চট্টগ্রামে ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে আর ১৮০টি কিট থাকবে। এই কিট দিয়ে শনিবার ও রোববার পরীক্ষা করা যাবে। একথা জানিয়েছেন বিআইটিআইডি ল্যাব প্রধান ডা. শাকিল আহমেদ। শুধু বিআইটিআইডি নয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও একই চিত্র। সকলকে রোববারের মধ্যে নতুন কিট পেতে হবে। আর তা না হলে সোমবার থেকে চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রামে অনেক আগেই কিট শেষ হয়ে যেত জানিয়ে বিআইটিআইডি ল্যাব প্রধান ডা. শাকিল আহমেদ বলেন, আমরা একটি কিট দিয়ে দুটো পরীক্ষা করায় এতোদিন গেছে। অন্যথায় আরো আগে শেষ হয়ে যেত। এখন রোববারের মধ্যে অবশ্যই কিট পেতে হবে।
অপরদিকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব প্রধান ড. জুনায়েদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের এখানে ২৫০টি কিট রয়েছে। এসব কিট দিয়ে আগামী দুই দিন পরীক্ষা চলবে। কিটের জন্য রোববার ঢাকা যাওয়ার সিডিউল রয়েছে। গিয়ে দেখি কী পরিমাণ কিট পাওয়া যায়।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৫০টি পরীক্ষা করা হয়। কখনো কখনো তা ১৮০ পর্যন্তও। জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়টির বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের প্রফেসর মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৪০০কিট রয়েছে। সেই হিসেবে আগামী দুই দিন হয়তো পরীক্ষা চালাতে পারবো। সোমবার কিট পেতে হবে। কারণ আমরা এখনো এক কিট দিয়ে একটি পরীক্ষা পরিচালনা করছি। এক কিট দিয়ে দুটো পরীক্ষা করার লিখিত কোনো নির্দেশনা পাইনি।’
অপরদিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবেও রোববার পর্যন্ত চলার মতো কিট রয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষায় এসব ল্যাবের বাইরে বেসরকারিভাবে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল এবং গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) থেকে করোনা পরীক্ষা শুরু করেছে শেভরন ডায়াগনিস্টিক ল্যাবরেটরি লিমিটেড। চট্টগ্রামে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার করোনা নমুনা পরীক্ষা হয়ে থাকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশে করোনার কিটের সঙ্কট রয়েছে। তবে কী পরিমাণ কিট মজুদ রয়েছে তা কেউ বলছে না। প্রতিদিন দেশে গড়ে ১৮ হাজার নমুনার পরীক্ষা হয়ে থাকে। কিট সঙ্কটের কারণে গত কিছুদিন ধরে এক কিটে দুটো করে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে।
টপ নিউজ