এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের ওয়েবিনার
শিক্ষা অন্তদৃষ্টিকে প্রসারিত করে জ্ঞানের পরিধিকে বিস্তৃত ও সমৃদ্ধ করে দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। প্রকৃত অর্থে সুশিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তি তার মেধা, মনন, প্রজ্ঞা, সৃজনশীলতার দ্বারা আত্মসচেতনতায় বলীয়ান থাকে। এসডিজি-৪ এর মূল লক্ষ্যই হল সমাজের সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, দীর্ঘস্থায়ী ও গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা। সারাবিশ্বে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এডুকেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (ইএসডি) বাস্তবায়নে গ্লোবাল একশান গ্রহণ করা হয়েছে যেখানে সংশ্লিষ্ট সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারকদের, প্রাতিষ্ঠানিক কর্তাব্যক্তিদের, শিক্ষাবিদ, যুব সম্প্রদায় ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র উদ্যোগে এসডিজি -৪ মানসম্পন্ন শিক্ষা শীর্ষক সরাসরি ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন। এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার’র সভাপতিত্বে ও মানসম্পন্ন শিক্ষা কর্মসূচির কো-অর্ডিনেটর ড. মুহাম্মদ কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় গতকাল ৮ ফেব্রুয়ারি এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম ফেইজবুক পেইজ থেকে সম্প্রচারিত সরাসরি ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের মানসম্পন্ন শিক্ষা কর্মসূচির উপদেষ্টা ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. ডেভ ডোল্যান্ড। প্যানেল আলোচক ছিলেন শিক্ষাবিদ ও চট্টগ্রাম সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রশিক্ষক শামসুদ্দিন শিশির, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি)’র চেয়ারম্যান আহসান হাবীব, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র কেন্দ্রীয় সংগঠক মিহির বিশ্বাস, চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের সহকারী অধ্যাপক মিঁঞা মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী, তুরস্কের সেলজুক বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক যোবায়ের আহমদ, শিক্ষাবিদ শাফকাত জাহান, ওব্যাট হেল্পারর্সের কান্ট্রি ম্যানেজার সোহেল আক্তার খান, মোহাম্মদ জাকারিয়া, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি মডেল ইউনাইটেড নেশনস ক্লাব’র সহ-সভাপতি গালিব আকন্দ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ক্লাব’র সহ-সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল রাইয়ান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্টারপ্রিনিউরশিপ অ্যান্ড লিডারশিপ ডেভলপমেন্ট ক্লাবের আহ্বায়ক আসমা আক্তার মুক্তা, মিনহাজুর রহমান শিহাব, তনিমা রহমান, রাশেদ হোসেন, মহিউদ্দিন কাদের সামি, মাঈনুল ইসলাম প্রমুখ। নোমান উল্লাহ বাহার বলেন, বিশেষ পরিকল্পনা ও প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সন্তানদের মানসম্পন্ন শিক্ষায় সংযুক্তি প্রয়োজন। এছাড়াও দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণ, শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণ, বৈশ্বিক নাগরিক তৈরি, প্রাথমিক-মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদারে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
প্রফেসর ড. সেলিম উদ্দিন আরো বলেন, করোনার দীর্ঘ বন্ধের কারণে শিক্ষা খাতের যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা পুষিয়ে উঠতে কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি। বিশেষত শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে অতিসত্বর শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালু, প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে কোনো শিক্ষার্থী যাতে ঝরে না পড়ে সেদিকে তদারকি বৃদ্ধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুষ্টিকর খাবার বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ, গ্রাম-শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বৈষম্য দূরীকরণ, শিক্ষা খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দের পাশাপাশি প্রয়োজনে প্রণোদনাসহ বেশ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনাও তুলে ধরেন ড. সেলিম উদ্দিন। বিজ্ঞপ্তি