নিজস্ব প্রতিবেদক»
নগরের বাকলিয়া এলাকায় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে ফাঁসাতে গিয়ে দু’বছরের শিশু আবদুর রহমান আরাফকে পানির টাংকিতে ফেলে হত্যা করা হয়। এ মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার আসামিরদের উপস্থিতিতে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জসিম উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, হত্যার পরিকল্পনাকারী মো. ফরিদ (৩৮), দারোয়ান মো. হাসান (২৩) ও তার মা নাজমা বেগম।
অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘শিশু আরাফ হত্যা মামলার রায়ের পর আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে ২০২১ সালের ১০ মার্চ আদালতে চার্জ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ২০ জন ও আসামিপক্ষে ১০ জন সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিন আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের সিটি নির্বাচনে ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিয়া নৌকা প্রতীক পেয়ে দলীয় সমর্থন পাওয়ার পর তাকে নির্বাচন বিমূখ করতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ফরিদ। শিশু আরাফ হত্যার আগে নূরুল আলম মিয়ার নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালায় ফরিদের লোকেরা। সেসময় নূরুল আলম মিয়া তাদের বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ২০২০ সালের ৬ জুন নগরীর বাকলিয়ায় এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
হত্যার পর সেই আটতলা ভবনের বাসিন্দা নাজমা বেগম, তার ছেলে হাসান ও পাশের ভবনের বাসিন্দা ফরিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঋণগ্রস্ত হয়ে অর্থাভাবে থাকায় ২০ হাজার টাকার লোভে ফরিদের প্রলোভনে বাড়িওয়ালাকে ফাঁসাতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আদালতে জবানবন্দি দেন নাজমা বেগম।