সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক »
টলিউড সিনেমার বাণিজ্য খুব একটা সুখকর নয়। চলতি বছর হাতে গোনা কয়েকটি ছবি মোটে সুপারহিট হতে পেরেছে। আর সেই তালিকায় প্রথম নামটি ‘অর্ধাঙ্গিনী’। যেটার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঢাকার জয়া আহসান।
কয়েক মাসের ব্যবধানে ফের পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে জয়া। এবারের ছবি ‘দশম অবতার’। বানিয়েছেন খ্যাতিমান নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি। আর এখানে জয়ার সঙ্গে আছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও যিশু সেনগুপ্তের মতো তারকা। ফলে এবারের দুর্গাপূজায় সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত ছবি এটি। গতকাল পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে ‘দশম অবতার’। এর আগে গত মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয় ছবিটির প্রিমিয়ার। মূলত এর পর থেকেই ছবিটির রিভিউ আসা শুরু হয়েছে। যেগুলোর বেশিরভাগই ইতিবাচক, প্রশংসায় ভরা।
প্রতিক্রিয়ার দিকে নজর দেওয়ার আগে একটি চমকপ্রদ খবর জানা যাক। মুক্তির আগে অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে রীতিমতো রেকর্ড গড়েছে ‘দশম অবতার’। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ-এর তথ্য অনুযায়ী, মুক্তির আগে ছবিটির ৩০ হাজারের বেশি অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে। যা টলিউডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। এই পূজায় সুপারস্টার দেবের ‘বাঘা যতীন’, কিংবদন্তি ভিক্টর ব্যানার্জি অভিনীত ‘রক্তবীজ’ ও কোয়েল মল্লিকের ‘জঙ্গলে মিতিন মাসি’ও মুক্তি পেয়েছে। তবে সেগুলোকে টেক্কা দিয়ে ‘দশম অবতার’র সূচনাই জোরালো মনে করছেন টলিউডবাসী। এবার প্রতিক্রিয়ার খবর নেওয়া যাক। আনন্দবাজারের রিভিউতে ‘দশম অবতার’র ইতিবাচক বন্দনাই পাওয়া গেলো। ছবিতে বাণিজ্যিক সোয়াগের পাশাপাশি সৃজিতের চেনা বুদ্ধির খেলাও রয়েছে সমান্তরালভাবে। জয়ার সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘ছবির অভিনেত্রী জয়া আহসান। একমাত্র নারী চরিত্র। তার কাজটা বোধ হয় সবচেয়ে কঠিন ছিল। প্রবীর (প্রসেনজিৎ) আর পোদ্দারের (অনির্বাণ) যুগলবন্দি দেখতেই ব্যস্ত দর্শক। তাদের সংলাপে একের পর এক বাউন্ডারি। তার মধ্যে পরিচালক চিত্রনাট্যে আগের ছবিগুলোর রেফারেন্স ঢুকিয়েছেন। একটা ধরতে না ধরতেই পরিচালকের অন্য বাউন্সার তৈরি। সে সব থেকে ফুরসত পেলে যিশুর কাণ্ডকারখানা ব্যস্ত রাখবে দর্শককে। এত কিছুর মাঝে জায়গা করে নিতে হয়েছে জয়াকে। এবং তিনি সেটা দিব্যি পেরেছেন। এক ইঞ্চিও নিজের জমি ছাড়েননি। দর্শক যাতে হল থেকে বেরিয়ে তাকে মনে রাখেন, তা নিশ্চিত করেছেন জয়া।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা থেকেও এসেছে ইতিবাচক রিভিউ। সেখানেও প্রসেনজিৎ, অনির্বাণ ও যিশুদের সঙ্গে জয়ার বন্দনা রয়েছে। হিন্দু পুরাণের সঙ্গে মানুষের মনজগতের কাল্পনিক যোগসূত্রের জন্য নির্মাতার প্রশংসাও করা হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার প্রতিক্রিয়াটিও প্রশংসায় ভরপুর। এতে জয়ার প্রসঙ্গে লেখা হয়েছে, “যদি আসি জয়া আহসানের কথায়, তাহলে বলব ‘সিরিয়াল কিলার’-পুলিশের রক্তের গন্ধ মেশা এই খেলায় ‘পেলব’ (কোমল) সুর হয়ে ধরা দিয়েছেন জয়া।” এই সময় থেকে যদিও রেটিং সন্তোষজনক নয়; ৫-এর মধ্যে মোটে ২.৫। তবে সামগ্রিকভাবে ছবিটির ইতিবাচক দিকগুলোকে ফোকাস করেছে গণমাধ্যমটি। এই প্রতিক্রিয়ায় জয়ার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘জয়ার অভিনয় দশম অবতারের উপর বিশ্বাস দৃঢ় করে।’
এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শক ও টলিউড অঙ্গনের অনেকেই ‘দশম অবতার’ ছবিটির প্রশংসা করছেন। সেই প্রশংসা ছবির ব্যবসায় কতখানি ভূমিকা রাখে, তা সপ্তাহান্তে জানা যাবে।