নিজস্ব প্রতিবেদক »
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, কর নেট বাড়ানো, কর হার কমানো, কর প্রদান সহজীকরণ ও ফাঁকির প্রবণতা বন্ধ করা আমাদের লক্ষ্য। আমরা সে পথে ধাপে ধাপে এগোচ্ছি। অনুশীলন করছি। আপনারা আস্থা রাখতে পারেন। চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে হোটেল আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিএমসিসিআই) আয়োজিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা ব্যবসা বাণিজ্যের সমস্যা চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি। দুই বছরে অনেক কমিয়েছি। যুক্তিসঙ্গত প্রস্তাবনা অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এনবিআর সদস্য (কাস্টমস নীতি) মো. মাসুদ সাদিক, সদস্য (আয়কর নীতি) সামস উদ্দিন আহমদ, সদস্য (মূসক নীতি) জাকিয়া সুলতানা।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খলিলুর রহমান আসন্ন বাজেটের জন্য একগুচ্ছ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ-সভাপতি এএম মাহবুব চৌধুরী বলেন, আগে কাস্টম হাউসে পণ্য ছাড় করতে ৫৪টি সই লাগত, তা ৮ সইতে নামিয়ে আনা হয়েছে। এনবিআরের একেকজন চেয়ারম্যান দেশের ব্যবসা বাণিজ্যকে এগিয়ে নিতে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
সিএমসিসিআই পরিচালক আবুল বশর চৌধুরী বলেন, বন্ড, কাস্টম, ভ্যাটে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সুঁই থেকে এরোপ্লেন কীভাবে চলবে তা নির্ধারণ করে বাজেট। পরিবেশবান্ধব, শিল্পবান্ধব, ব্যবসাবান্ধব, অর্থনৈতিক প্রবদ্ধির বাজেট চাই। করের আওতা বাড়িয়ে কর কমাতে হবে। বছরে জলাবদ্ধতার জন্য খাতুনগঞ্জ ৫ বার ডুবে, লাইটার জাহাজ ডুবে তাই এধরনের লোকসানও কর কাঠামোয় বিবেচনায় আনতে হবে।
মোদাচ্ছের আলম সিদ্দিকী বলেন, এইচআর কয়েল আমদানিতে ৫ শতাংশ এআইটি কাটা হয়। ম্যানুফেকচারারদের প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দিতে হবে।
বিএসআরএমের এমডি আমির আলীহোসেন বলেন, গ্রে এরিয়া দূর করলে ইজি অব ডুয়িং বিজনেস হবে। ট্রান্সপারেন্ট হলে আন্ডার ইনভয়েসিং, ওভার ইনভয়েসিং বন্ধ হবে।
বিজিএমইএর সহ সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, রুগ্ন শিল্প চালুতে সমস্যা হচ্ছে। এ বিষয়ে সহযোগিতা দরকার। আমরা ভ্যাট ও কর দিতে চাই, এটা যাতে সহজ হয়।
দেশীয় তামাক উৎপাদনকারী মালিক সমিতির প্রতিনিধি আব্দুল আওয়াল মোহন বলেন, দেশীয় তামাক কোম্পানিগুলো বর্তমানে অসম প্রতিযোগিতার কারনে বাজার হারাতে বসেছে। দেশীয় তামাক শিল্পকে বাঁচাতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সিগারেটে প্রতি শলাকায় ন্যূনতম ১ টাকা পার্থক্য রেখে দাম নির্ধারণ এবং নিচের স্ল্যাবে শুধুমাত্র দেশীয় কোম্পানীর দেশীয় সিগারেটের জন্য সংরক্ষিত রাখার প্রস্তাব করছি।
আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন সিএমসিসিআইর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জয়নাল আবেদিন।