নিজস্ব প্রতিবেদক »
আনোয়ারায় কর্ণফুলী নদীর তীর দখল করে কর্ণফুলী ড্রাইডক লিমিটেডসহ আশপাশের সব স্থাপনার নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী।
গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্ণফুলীসহ অন্যান্য নদ-নদী, খাল-বিল, জলাশয় দখল ও দূষণ সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভা শেষে মনজুর আহমেদ চৌধুরী এ নির্দেশ দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
সভায় মনজুর আহমেদ চৌধুরী এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করে আগামী সাত দিনের মধ্যে নদী রক্ষা কমিশনে প্রতিবেদন জমা দিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্র্ণ নদী। এই নদী আমাদের ইকোনোমিক জোন। এটি শুধু চট্টগ্রামবাসীর জন্য পুরো দেশের জন্য সমান গুরুত্বপূর্র্র্ণ। দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ আমদানি-রপ্তানি এ নদীর মাধ্যমে। এ নদীর পাড়ে অবৈধ স্থাপনাসহ যা দখল হয়েছে সেগুলো অবমুক্ত করতে হবে। কর্ণফুলী ড্রাইডকের প্রায় সব অংশই এ নদীর মধ্যে অবস্থিত। এই ফিশারিঘাট (চাক্তাই ভেড়া মার্কেটের বিপরীতে জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠিত নতুন ফিশারি ঘাট), এখানে যে বরফকল সবই নদীর ভেতর ছিল। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। এখানে অনেক সরকারি সংস্থা আছে। বন্দরনগরীতে সিটি করপোরেশন, সিডিএ, বন্দর ও জেলা প্রশাসনের চোখের সামনে একটা নদী কী করে দখল করে নিল, অথচ সবাই নীরব। এটা কখনো মেনে নেয়া যায় না।’
তিনি আরো বলেন, কর্ণফুলী ড্রাইডকের বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করা হবে। টিম গঠন ও টিমের প্রতিবেদন হাতে পাওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে।
সভা শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামে প্রায় ১৫ হাজার জমি অনাবাদী রয়েছে। যেগুলোর মালিক কেউ ব্যবসায়ী, কেউ প্রবাসী। আমরা এসব জমিকে কাজে লাগাবো। এসব জমি চাষাবাদযোগ্য করে তুলবো। এতে খাদ্য উৎপাদন বাড়বে।
সভায় পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মুফিদুল আলম, আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।